পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম অবৈধভাবে অবস্থান করছে। কক্সবাজার জেলার জনসংখ্যার প্রায় ২০-২৫ ভাগ অবৈধ রাখাইন প্রদেশের মুসলিম। এসব অতিরিক্ত মানুষ ভবিষ্যতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁ-৩ আসনের এমপি ইসরাফিল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) পরিচালিত দু’টি ক্যাম্পে ৩৩ হাজার রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)শুমারী (অপ্রকাশিত) অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম অবৈধভাবে কক্সবাজারসহ সংশ্লিষ্ট ৫টি জেলায় অবস্থান করছে।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নতুন নয়, ১৯৭৮-৭৯ সালে মিয়ানমার থেকে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা এদেশে অনুপ্রবেশ করে, আবার ১৯৯১-৯২ সালে আসে ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন রোহিঙ্গা মুসলিম। এর মধ্য থেকে ইউএনএইচসিআর এর সহযোগিতায় ১৯৯১-৯২ সালে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জনকে সে দেশে ফেরত পাঠান সম্ভব হয়। বাকিরা অবৈধভাবে রয়ে যায়। নতুন করে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা এদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের নয়াপাড়া ও কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত মিয়ানমারের শরনার্থীদের পেছনে সরকারের প্রতিবছর ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা।
‘মিয়ানমার নাগরিকরা সামাজিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতি করছে। এমনকি তারা মাদকদ্রব্য পাচার ও উৎপাদন, চোরাচালান, অস্ত্র এবং মানব পাচারসহ বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী স্থানীয় শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যারা ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এইচএস/এমএমএ/পিআর
Advertisement