আন্তর্জাতিক

গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন : সেহেরির কারণে বাঁচলেন অনেকে

লন্ডনের ২৪ তলা বিশিষ্ট গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সত্তর জনের বেশি মানুষকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

Advertisement

ওই টাওয়ারে রোজা রাখার উদ্দেশে সেহেরী খেতে উঠেছিলেন মুসলিম বাসিন্দারা। সে সময় অনেক বাসিন্দাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে গেছেন। সেহেরীর সময় বেশ কয়েকজন মুসলিম তরুণ আগুনের খবর জানিয়ে ওই ভবনের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় এক নারী জানিয়েছেন, ওই মুসলিম তরুণরা না থাকলে ভবনের আরো অনেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হত। সবাই গভীর ঘুমে অচেতন ছিলেন ফলে সুউচ্চ সেই ভবনের উপরের তালায় বসবাসকারীরা কিছুই জানে না, ফায়ার অ্যালার্ম তাদের কারো কাছেই পৌঁছায়নি।

তিনি জানান, ওই তরুণরা দরজায় টোকা দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সতর্কতার বিষয়টি জানান। তারা অন্য বাসিন্দাদের পানি দিয়ে এবং ভবন থেকে বের হতে সাহায্য করেন।

Advertisement

রমজান মাসে মুসলিমরা দিনের বেলা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। তাদের সেহেরী খেয়ে সারাদিন রোজা রাখতে হয়। ওই তরুণরাও রোজা পালন করছিলেন।

এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই তরুণরা ঘুমন্ত পরিবারগুলোকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তারা এক একটা পরিবারে গেছেন আর দরজা ধাক্কা দিয়ে তাদের জাগিয়ে তুলেছেন। রমজান মাসকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ওই নারী।

খালিদ সুলেমান আহমেদ (২০) নামের এক মুসলিম তরুণ জানান, তিনি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে সেহেরীর জন্য উঠেছিলেন। ভবনে আগুন লেগেছে দেখে তিনি নয়তলায় গিয়ে সবাইকে ডেকে তোলেন।

তিনি জানান, সেসময় কোনো অ্যালার্ম বা অগ্নিকাণ্ডের সতর্কতা ছিল না। আমি সেহেরী খেতে উঠেছিলাম। আমি আমার জানালা খুলে ধোঁয়া দেখতে পেলাম। এরপরই আমি প্রতিবেশিদের ডাকতে শুরু করি। অন্যরাও সে সময় একে অন্যদের আগুনের কথা জানাচ্ছিল। অন্যদের মত আমিও হয়তো ঘুম থেকে উঠতে পারতাম না যদি না আমাকে সেহেরী খেতে হতো।

Advertisement

তিনি আরো বলেন, ভবন থেকে বেড়িয়ে আসার পর দমকলকর্মীরা আমাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। তারা আগুন নেভানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

টিটিএন/পিআর