গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জিরাফ পরিবারের এসেছে নতুন সদস্য। মা আশার বর্তমান বয়স পাঁচ বছর। আশার শাবকের নাম রাখা হয়েছে ভরসা। নতুন অতিথির আগমনের খবরে পার্কে বিরাজ করছে খুশির পরিবেশ। নতুন শাবকের জন্য নেয়া হয়েছে নানা ধরনের ব্যবস্থা। পরিবর্তন আনা হয়েছে খাবারের মেন্যুতেও।
Advertisement
গতকাল থেকেই দেয়া হচ্ছে চার হালি কলা, ১৫০০ গ্রাম সিদ্ধ ছোলা, ২৫ কেজি সবুজ ঘাস, ১৫ কেজি গমের ভূসি। আরও দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ওষুধ। এছাড়া একজন ভেটেরিনারি ডাক্তারের সঙ্গে দুজন লোকবল সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য দেয়া হয়েছে।
এ জিরাফ আশা গতকাল বুধবার ভোরে এক শাবকের জন্ম দেয়। জন্ম নেয়া এ শাবকের কথা বিবেচনা করে জিরাফ এলাকার পাশে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা প্রহরা। দিনভর শাবকের সঙ্গে মায়ের সখ্য দেখে বেজায় খুশি পার্কের কর্তাব্যক্তিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, জিরাফ এলাকায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে হাঁটাহাঁটি করছে সদ্য জন্ম নেওয়া শাবকটি। নানা ভঙ্গিমায় ভিন্ন ভিন্নভাবে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। এমনকি গতকাল পার্কের ঘন বনের ভিতর অভিজাত ভঙ্গিমায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে মা ও শাবকটিকে।
Advertisement
সাফারি পার্কের প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও প্রাক্তন প্রধান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. এ বি এম শহীদ উল্লাহ বলেন, ১৫ মাস গর্ভধারণের পর এ শাবকটির জন্ম হলো গতকাল। আবদ্ধ অবস্থায় জিরাফের শাবকের জন্ম দেয়া অনেকটা বিরল ঘটনা। ফলে প্রাণী জগতের ইতিহাসে স্থান করে নিতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি।
মা জিরাফ আশা গতকাল থেকে মহা আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে আছে। এ সাফারি পার্ক এখন প্রাণিসম্পদ রক্ষায় পারদর্শী। মা ও শাবক জিরাফ সুস্থ ও ভালো আছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় প্রাণী হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের পরামর্শে শাবকের দেখভাল করছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। সুস্থ আছে মা ও শাবক। স্বাভাবিক খাবারও মনভরে খাচ্ছে তারা।
সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও উপ-প্রধান বনসংরক্ষক শামসুল আজম বলেন, সদ্য জন্ম নেয়া জিরাফ শাবকের জন্য কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। শাবক জন্ম নেওয়ার পর থেকে মা জিরাফ ও শাবককে আলাদাভাবে একটু দূরত্বে রাখা হয়েছে। বিকেলে পার্কে বেড়াতে আসা শিশু ও কিশোররা জিরাফ শাবক দেখতে ভিড় জমায়।
Advertisement
এফএ/পিআর