দেশজুড়ে

পাহাড়ধসে মৃতের সংখ্যা ১৫০

টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জেলায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরিয়ে হতাহতদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

Advertisement

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে বুধবার রাত পর্যন্ত ১৫০ জনে পৌঁছেছে। অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন কাজ করছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় নতুন করে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জন হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বুধবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ চলছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকের মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

Advertisement

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুসহ রাঙামাটিতে ১০৭, বান্দরবানে ছয়, কক্সবাজারে দুইজন, খাগড়াছড়িতে একজন এবং চট্টগ্রামে ৩৪ জন। এছাড়া আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রতীশ চন্দ্র রায় বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জাগো নিউজের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে মাটিচাপায় রাঙামাটি শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত ১০৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় পাহাড় ধসে মাটিচাপায় দুইজনের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সহীদ তালুকদার।

Advertisement

সেই সঙ্গে কাপ্তাইয়ের রাইখালীর কারিগরপাড়ায় চারজন এবং কাউখালী উপজেলায় সর্বশেষ ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে মানিকছড়িতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড় থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণের সময় ৪ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়।

তারা হলেন মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ক্যাপ্টেন মো. তানভীর সালাম শান্ত, কর্পোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক ও সৈনিক মো. শাহীন আলম।

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় মাটিচাপা পড়ে চার পরিবারের ২৭ জনসহ ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।

রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন পাহাড় ধসে ৩৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে প্রবল বর্ষণে বান্দরবান জেলা শহরের অদূরে লেমুঝিরি ও কালাঘাটা এলাকায় পাহাড় ধসে মা-মেয়েসহ তিন পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ে পাহাড়ের মাটি ও গাছ চাপায় বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলেন উপজেলার খারাংখালী পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়া গ্রামের বাবা মোহাম্মদ সেলিম (৪০) ও তার মেয়ে টিসু মনির (৩)।

এএম/পিআর