জাতীয়

রাজধানীতে বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা আর ভোগান্তি

রাজধানীতে বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি বেশি হোক বা মাঝারি, জলাবদ্ধতা হবেই। আর জলাবদ্ধতা মানেই চরম ভোগান্তি। ফলে রোজায় ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

Advertisement

বুধবার সকালে ছিল চনমনে রোদ। দুপুর থেকেই কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বিকাল নাগাদ মুষলধারে বৃষ্টি নামে। ছোট বড় সব রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে বেকায়দায় পড়ে রাজধানীবাসী।

জলাবদ্ধতার কারণে কমে যায় যানবাহনের গতি। অনেক জায়গায় তীব্র যানজট। বুধবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, আগারগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ীসহ বেশকিছু এলাকা ও মহাসড়কে বৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার মূল কারণ পুরো রাজধানী জুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি আর ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার। এর সঙ্গে কাজের সমন্বয় না থাকাও বড় কারণ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজধানীর সব রাস্তায় তীব্র যানজটের কারণে ঘরমুখী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে সৃষ্ট যানজট ছড়িয়ে পড়ছে মহাসড়কেও। ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে রাস্তায় ইফতার করেছেন।

Advertisement

বাড্ডা রোডে দেখা গেছে, নগরীর সড়কগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় বাস, ট্যাক্সিসহ গণপরিবহন কম দেখা গেছে রাস্তায়। আবার অনেক রাস্তায় খানাখন্দকে রিকশা চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।এলাকার অনেক অলিগলির ড্রেন উপচে পড়ে রাস্তাঘাট ঘর বাড়িতে পানি জমে গেছে। রাস্তায় জনসাধারণের ভোগান্তি চোখে পড়ার মতো।

রাজধানীর শাহজাদপুরের বাসিন্দা হাসান আরিফ বাড্ডা থেকে বাসায় ফিরবেন। কিন্তু ইফতারের আগে বৃষ্টিতে আটকা পড়ে গেছেন। বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে হাঁটু পানি। জলাবদ্ধতার বিড়ম্বনায় পড়ে তিনি জানালেন, মেইন রোডে হাটুঁ পানি জমে গেছে। কীভাবে যাব। জুতা হাতে নিয়ে ময়লা পানি পেরিয়ে যাব ভাবছিলাম। কিন্ত যে গর্ত, তাতে ভয় হয়।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি হবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকা, জরাজীর্ণ রাস্তার সংস্কার না হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দেয়।

এমএ/ওআর/এমএস

Advertisement