পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশে মোট ৩৯৭ দশমিক ৭২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং ও খনন করা হয়েছে, আরো ৯৩ দশমিক ২০ কিলোমিটার পুনরায় খননের কাজ চলমান রয়েছে ।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সুকুমার রঞ্জন ঘোষের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
পানি সম্পদমন্ত্রী বলেন, নদীর ভাঙন রোধ, নদীর প্রবাহ বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ নদী খনন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
Advertisement
চট্টগ্রাম এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদমন্ত্রী জানান, দেশের উপকুলীয় অঞ্চলের সমগ্র পোল্ডারগুলোকে জলবায়ু ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, ভাঙন ইত্যাদির কবল থেকে রক্ষার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘কোস্টাল এমবার্কমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট-ফেজ ১, শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা এবং মেয়াদকাল ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। এছাড়া উপকুলীয় পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুরে জেলার ৭০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকোভারি এ- রেস্টোরেশন’ প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে।
এইচএস/এআরএস/এমএস