খেলাধুলা

উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া!

কথাটা শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। মনে হতে পারে রূপকথার, বাঘে-মোষে একঘাটে পানি খাওয়া দোস্তির মত; কিন্তু বাস্তবেই এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইন। চিরশত্রু, চির প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়াকে নিয়েই নাকি তিনি চান ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে। এমন ঘোষণা খোদ দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্ট নিজেই দিয়েছেন।

Advertisement

মাত্র কয়েকদিন আগেই তো পুরো পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে তুলেছিল উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকাসহ প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে প্রায় যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দেশটির সঙ্গে অন্য কারও দোস্তি হতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার তা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না।

সেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নিজেই উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ইচ্ছুক এবং এ ব্যাপারে তিনি ইতিমধ্যে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গেও আলাপ করে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন।

মুন জ্যা-ইন, ২০০২ সালে জাপানের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের নজির থেকেই উৎসাহ পেয়েছেন বলে জানান। দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, কোরিয়া প্রেসিডেন্ট ফিফা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে ফেলেছেন এবং তিনি চান উত্তর-পুর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে যৌথভাবে আরও একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে। এ ক্ষেত্রে তিনি উত্তর কোরিয়াকেই সঙ্গে নেয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন।

Advertisement

মুখপাত্র মুন জ্যা-ইনের বক্তব্য তুলে ধরেন এভাবে, ‘যদি উত্তর-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোকে নিয়ে, বিশেষ করে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া এক সঙ্গে বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারি, তাহলে এটা দু দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠারও একটা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এবং উত্তর-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে শাস্তির সেতুবন্ধন হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।’

প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইন ফিফার আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি ফিফা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি এবং চাইবো তিনি এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করবেন।’

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মুন জ্যা-ইন প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উত্তর-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চান; কিন্তু উত্তর কোরিয়া এখনও পর্যন্ত তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

আইএইচএস/এমএস

Advertisement