তথ্যপ্রযুক্তি

ড্রোনের জন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম

ড্রোন ব্যবহারে এবার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা। এতে ৪০০-৫০০ ফুট উচ্চতায় উড্ডয়মান ড্রোন পরিচালনা করা আরও সহজ হবে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর দ্য ভার্জপ্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামরিক খাতে এরই মধ্যে ড্রোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে ব্যাপকভাবে। পাশাপাশি এখন ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স খাতের প্রসারেও এটি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান। এ ধারাবাহিকতায় এগিয়ে রয়েছে মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন।প্রতিষ্ঠানটি অর্ডারের কিছু সময়ের মধ্যেই পণ্য সরবরাহের জন্য এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) নিষেধাজ্ঞার কারণে অ্যামাজন ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে।এদিকে মার্কিন শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগলও গত সপ্তাহে ই-কমার্স খাতে ব্যবসা প্রসারের জন্য গোপনে ড্রোনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেছে। যার কারণে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় নাসা।এটির ব্যবহার শুরু হলে মনুষ্যবিহীন উড়োযানগুলো কোনো বড় ভবনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এছাড়া নাসার এ সিস্টেমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আগাম আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানতে পারবে। ফলে নিজেরাই ঠিক করে নিতে পারবে কোন আবহাওয়ায় ড্রোন উড্ডয়ন করাবে আর কোন আবহাওয়া এ যানগুলোর জন্য বৈরী হতে পারে।এ বিষয়ে নাসার গবেষক পরিমল এইচ কপাদেকার জানান, শুধু সামরিক বা ব্যবসা খাতে ড্রোন পরিচালনার জন্যই নয়, কৃষি খাতেও এটির ব্যবহার কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে তেলের পাইপলাইন এবং শস্য ক্ষেত পর্যবেক্ষণের জন্যও ড্রোনের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এফএএর এক মুখপাত্রের বিবৃতি অনুযায়ী, এনএএসএর পরিকল্পিত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম আগামী বছরের শুরু থেকেই সেবা প্রদান শুরু করবে।

Advertisement