ধর্ম

রোজায় যে কাজগুলো পালন করা সুন্নাত

রমজান মাসের রোজা পালনে অন্যতম করণীয় কাজ হলো আল্লাহ তাআলার ভয় তথা তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়ই মানুষের যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগিকে গ্রহণযোগ্য করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রমজানের তাকওয়া অর্জনের জন্য আরো কিছু সহায়ক কাজ করা আবশ্যক। যা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন।

Advertisement

রমজানের রোজা পালনে রোজাদারের জন্য প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত কাজ রয়েছে। যে কাজগুলো করা সব রোজাদারের জন্য একান্ত জরুরি। সেগুলো হলো-

রমজান মাসে ইফতারের সময় রোজাদারকে ইফতারের দাওয়াত দেয়া এবং ইফতার বিতরণ করা সুন্নাত। যে অন্য রোজাদারকে ইফতার করাবে, বা ইফতারি বিতরণ করবে সেও তার সমান সওয়াব পাবে এবং এতে করে রোজাদারের সাওয়াব থেকে কিছুমাত্র কমানো হবে না।

তাছাড়া রোজাদারের জন্য রয়েছে আরো কিছু আমলযোগ্য সুন্নাত। যা রোজাদারের জন্য আল্লাহ নৈকট্য অর্জনে সহায়ক হবে। যেমন-

Advertisement

>> অধিক পরিমাণে আল্লাহ তাআলার জিকির করা;>> দিনে ও রাতে কুরআনুল কারিমের তেলাওয়াত করা;>> গরীব, দুঃখী ও অসহায়দের মাঝে দান-সাদকা করা;>> বিগত জীবনের গোনাহের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করা;>> আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীসহ সাহায্য প্রার্থণাকারী রোগীদের সেবা করা;>> আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা এবং>> নিজের জন্য ও মুসলিম উম্মাহর মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা।

রোজাদার ইফতারের আগ মুহূর্তে ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহ তাআলার তাসবিহ তাহলিল করতে থাকা এবং ইফতারের সময় হলে খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা। খেজুর পাওয়া না গেলে পানি দ্বারা ইফতার করা।

ইফতারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। ইফতার শেষ হলে আল-হামদুলিল্লাহ বলা।

রোজার দিনের যে কোনো সময় রোজাদারের মিসওয়াক করা সুন্নাত। চাই তা দিনের প্রথমে হোক বা শেষে হোক ।

Advertisement

রমজান মাসে রোজাদারকে কেউ গালি দিলে বা তার সাথে ঝগড়া করলে এ কথা বলা যে, ‘আমি রোজাদার, আমি রোজাদার।’

রমজানের রাতগুলোতে ইশার নামাজের পরে তারাবির নামাজ আদায় করাও সুন্নাত। আর যে রোজাদার ইমামের সাথে তারাবিহ নামাজ আদায় করে বের হবে; তার জন্য সারা রাত জেগে নামাজ পড়ার সমান সাওয়াব দান করা হবে।

পবিত্র রমজানস মাসে ওমরা পালন করা সুন্নাত। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের একটি ওমরা আদায়ে হজের সমান সাওয়াব রয়েছে।’

রমজান মাসের শেষ দশক হলো জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত পাওয়ার দশক। এ দশকের সুন্নাত হলো সব ধরনের ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা।

বিশেষ করে-শেষ দশক ই’তেকাফ করার মাধ্যমে মহিমান্বিত ‘লাইলাতুল কদর’ তালাশ করা। এই এক রাতের ইবাদত-বন্দেগি হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগি থেকেও উত্তম।’ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা ফরজ হওয়ার পর কখনো ই’তেকাফ ত্যাগ করেন নি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা পালনে উল্লেখিত সুন্নাত কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত দান করুন। সবাইকে ই’তেকাফ করার তাওফিক দিন এবং পবিত্র লাইলাতুল কদর লাভের সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর