ঈদকে সামনে রেখে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন পটুয়াখালীর দর্জিপাড়ার কারিগররা। একপাশে চলছে ক্রেতার মাপ নেয়া। অন্যপাশে টেবিলের উপর কাপড় বিছিয়ে স্কেল-ফিতা নিয়ে চক দিয়ে আঁকা। তারপর কাপড় কাটা। পাশেই সেলাই মেশিনের খর খর শব্দ। দিন-রাত নতুন পোশাক তৈরি।
Advertisement
পটুয়াখালী জেলা শহরে ছোট বড় মোট একশটি দর্জির দোকান রয়েছে। এসব দোকানগুলোতে মান ভেদে নতুন পোশাক সেলাইয়ের মজুরি নেয়া হচ্ছে ভিন্ন মূল্যে।
জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মেয়েদের সুতি থ্রি-পিসের মজুরি ২৭০ টাকা, সুতি থ্রি-পিস ডিজাইন ৩৮০ টাকা, থ্রি-পিস ডাবল ৪৫০ টাকা, ফ্লোর টাস থ্রি-পিস ৫৫০ টাকা, গাউন থ্রি-পিস ৭০০ টাকা, আনারকলি ৫০০ টাকা, ঝিলিক ৫০০ টাকা, লেহাঙ্গা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা করে সেলাইয়ের মজুরি নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে পুরুষের পাঞ্জাবি ৫৩০ টাকা, পায়জামা ৩৩০ টাকা, শাট ৩৫০ টাকা, প্যান্ট ৪৫০, ইংলিশ প্যান্ট ৩৫০ টাকা, ফতুয়া ৩০০ টাকা, প্রিন্স কোর্ট ৩ হাজার ৬০০ টাকা, কমপ্লিট স্যুট ৪০০০ টাকা সেলাইয়ের মজুরি নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে শহরের কালিবাড়ি রোড এলাকার অনন্যা টেইলার্সের স্বত্তাধিকারী মো. সোহেল মাহামুদ জাগো নিউজকে বলেন, আগে পাঁচজন কারিগর দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছিলাম। রোজায় কাজের চাপ বাড়ায় আরও কয়েকজন কারিগর নিয়োগ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কাজের অর্ডার ভালো আছে। ২০ রোজার পর থেকে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিব।
সুতা ঘরের স্বত্তাধিকারী পবিত্র কুন্ড জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পরতে। রেডিমেট পোশাকের দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ফ্যাশনের পোশাক তৈরি করার নারীরা আমার দোকান থেকে কালারের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন ডিজাইনের গলার ডিজাইন, লেইস, পুথি ও সুতা ক্রয় করেন। এ কারণে রমজানের শুরু থেকে আমার দোকানে প্রচুর ভিড় হচ্ছে।
জেলা শহরের আমিরাত মাস্টার টেইলার্সের স্বত্তাধিকারী মো. আবদুর রব সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, জেলার অন্য দর্জিদের তুলনায় আমাদের সার্ভিস ভাল। এ কারণে আমার দোকানে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। রমজানের শুরুতে কাজের চাপও বেড়েছে।
শহরের সুতা ঘরে এসেছেন সবুজ এলাকার গৃহিণী সালমা চৌধুরী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রেডিমেট পোশাকের দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক। তাই রেডিমেট পোশাক যেটা ক্রয় করা হয় সেটা কমন হয়ে যায়। এজন্য প্রতিবারের মত এবারও ঈদে নিজের পছন্দ মতো কাপড় কিনলাম এখন কাপড়ের কালারের সঙ্গে লেইস, পুথি ও সুতা ম্যাচিং করে কিনব।
Advertisement
পটুয়াখালীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জামিল আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি তৈরি করা শার্ট-প্যান্ট পরি। তাই এবার ঈদেও তার বেতিক্রম হয়নি। আমিরাত টেইলার্স থেকে একটি শার্ট ও একটি প্যান্ট ৮০০ টাকা মজুরি দিয়ে সেলাই করিয়েছি।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/পিআর