শিশুশ্রম প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন ও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, কোনো শিশু যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় এবং কোনোভাবে শিশুশ্রমে যুক্ত হয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসমূহের সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সোমবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে রোবাবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্বন্দ্ব এবং বিপর্যয়ের মধ্যে, শিশু মজুরি থেকে শিশুদের রক্ষা করুন।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সরকার শিশুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই, শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু রয়েছে।তিনি বলেন, রফতানি বাণিজ্যে শিশুশ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাই দেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হলে উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে কঠোরভাবে শিশুশ্রম মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। `বিশ্বায়নের বর্তমান যুগে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম নিরসনকে সরকার অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তাই সরকার সংঘাত ও দুর্যোগসহ সকল ক্ষেত্রে শিশুদের নিরাপদ রাখতে বদ্ধপরিকর।`বাণীতে আবদুল হামিদ বলেন, সরকার জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। আইএলও-এর সহায়তায় জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ শিশুশ্রম নিরসনে বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮ ধরণের কাজ চিহ্নিত করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি। এএসএস/এমএমএ
Advertisement