যে অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতারা থাকেন, সেখানে তাকে প্রধান অতিথি করতে নিষেধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে এখানে আমাকে দাওয়াত করেছেন। কিন্তু এখানে অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছেন। আমি সেখানে প্রধান অতিথি হলে তারা কষ্ট পাবেন। তাই যেখানে সিনিয়র নেতা রয়েছেন, সেখানে আমাকে প্রধান অতিথি করবেন না।
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের নামের সঙ্গে মিল রেখে গড়ে উঠা বিভিন্ন সংগঠনকে রাজনীতি ও দেশের জন্য ক্ষতিকর বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এসব দোকান বন্ধ করতে নেতাকর্মীদের তাগিদ দেন।
Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূঁইফোড় ‘দোকান’ বন্ধ করে দিতে পারলে দলের জন্য, দেশের জন্য এবং জনগণের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।
নগর নেতাদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাঁদাবাজির দোকান বন্ধ করে দিন। চাঁদাবাজির দোকানে আপনারা গেলে উৎসাহিত হয়।
তিনি বলেন, তারা এখন ইফতার পার্টির দাওয়াত নিয়ে আসে। চাঁদাবাজি করে ইফতার পার্টি করার জন্য। ঈদকে সামনে রেখে তারা চাঁদাবাজি করছে। চাঁদাবাজির দোকান বন্ধ করুন।
ইফতারের আগে আলোচনা সভার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা আমাদের নেত্রীকে অনুসরণ করুন। ইফতার মাহফিলে আয়োজন করে তিনি কোনো ভাষণ দেন না। এখন পর্যন্ত কোনো ইফতারে তাকে আমি রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে দেখি নাই। দোয়া-দরুদ পড়েন। রোজা রেখে ইফতারে মিথ্যাচারের আসর আওয়ামী লীগ কখনও বসায় না। আমাদের সবাইকে শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করা উচিত।
Advertisement
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, নগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
এইউএ/এসআর/পিআর