স্বাস্থ্য

বিএমএর কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক

সারাদেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে দেশের প্রতিটি জেলায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

Advertisement

বিএমএর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার প্রতিটি জেলায় দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সারাদেশের মতো ঢাকার সব চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বিএমএর প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বাবু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএমএর দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে এ পথসভায় যোগ দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

এতে বক্তব্য রাখেন বিএমএর মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএ সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান কার্যকরী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. সফিকুর রহমান, বিপিএমপিএ মহাসচিব ও বিএমএর কার্যকারী পরিষদ সদস্য ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএমএ দফতর সম্পাদক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ, সাংস্কৃতিক ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ডা. পূরবী রাণী দেবনাথ, ডা. জহুরুল হক সাচ্চু, ডা. পবিত্র কুমার দেবনদাথ, সেন্ট্রাল কাউন্সিলর ডা. তানভীর আহমেদ, ডা. শারমিন অমি প্রমুখ।

পথসভায় বক্তারা বলেন, চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় এখন সময়ের দাবি। বিভিন্ন সময় প্রায় ৭৩ জন চিকিৎসক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন এবং শতাধিক হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র ভাঙচুর হয়েছে।

তারা বলেন, বিএমএ প্রতিটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে নিরাপত্তাপ্রদানকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের কাছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দানে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

বক্তারা আরও বলেন, এদেশের ৭০ হাজার চিকিৎসক ও ১৬ কোটি মানুষকে হাসিমুখে চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধপরিকর তারা। কিন্তু চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির অভাবে চিকিৎসকরা ইচ্ছা থাকলেও সেবা দিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন।

বক্তারা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, এদেশের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা আমাদের প্রতিপক্ষ নয় বরং প্রতিটি বিষয়ে জেনে-শুনে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানান তারা।

তারা বলেন, চিকিৎসকরা নিরাপত্তার দাবিতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন, তাই তাদের দাবি মানতে হবে। অবিলম্বে আমাদের দাবি না মানা হলে ঈদের পর দেশের প্রতিটি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

নেতারা আগামী ১৮ জুন সারাদেশে দিনব্যাপী প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। এছাড়া আগামী ৩ জুলাই বিএমএর সব জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে ]কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের বর্ধিত সভায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথাও জানানো হয়।

এমইউ/এসআর/পিআর