২৬৬ রানের লক্ষ্য। খুব একটা সহজ নয়। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তার ওপর সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফর্মটা ভালো যাচ্ছিল না। অনেকে হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
Advertisement
আবার নিউজিল্যান্ড শিবির হয়তো বিভোর ছিল জয়ের স্বপ্নে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতার কাছে। জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান, তা বোঝা যায় তাদের সেঞ্চুরি করার ধরনেই।
ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করেন সাকিব। আর মাহমুদউল্লাহর শতকটা এসেছে বাউন্ডারিতে। অসম্ভবকেই যেন সম্ভব করলেন তারা দুজন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় জয় এটা (৫ উইকেটের ব্যবধানে)। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২২৪ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ-সাকিব। এই জুটিতে সাকিবের অবদান ১১১ এবং মাহমুদউল্লাহ করেছেন ৯৮ রান। বাকিগুলো অতিরিক্ত।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে এতদিন ডাবল সেঞ্চুরির কোন জুটি ছিল না। সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল ১৭৮ রানের। তামিম আর মুশফিক মিলে করেছিলেন, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তামিম-মুশফিককে পেছনে ফেলে নতুন করে ইতিহাস করলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ।
Advertisement
মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বাংলাদেশ দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। বলেন, ‘এটা ছিল অসাধারণ একটি জুটি। আমার দেখা এটাই সেরা জুটি।’
দ্রুতই চার উইকেট হারানোর পর এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশ দল কতটা উন্নতি করেছে। হাথুরুর ভাষায়, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন অনেক পরিণত। দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের সেরা খেলাটাই উপহার দিতে মুখিয়ে থাকে। এমন একটি দলের সঙ্গে থেকে আমি গর্বিত।’
এনইউ/পিআর
Advertisement