রংপুরে চলতি মৌসুমে আঁশবিহীন, মাংসল ও সুমিষ্ট স্বাদের স্থানীয় জাতের ‘হাড়িভাঙ্গা আমের’ বাম্পার ফলন হয়েছে। এই আম আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সংগ্রহ শুরু হবে।কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) উদ্যান উপ-পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ খন্দকার মেজবাহুল ইসলাম বলেন, এখনকার মতো অনুকূল আবহাওয়া যদি আগামী দুই মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে তাহলে আমের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।তিনি আরো বলেন, এ বছর এপ্রিল থেকে নিয়মিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা এ জাতের আমের উচ্চ ফলনে ব্যাপক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ডিএই সূত্র জানায়, দেশে ও বিদেশে এই আমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিন দিনই কৃষকরা হাড়িভাঙ্গা আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বর্তমান সময়ে রংপুরের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে দেখা যাচ্ছে সেখানকার শত শত লোক এই আম চাষ করে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে।এ বছর জেলায় ৬ হাজারের বেশী কৃষক ও আগ্রহী লোক ছোট, মধ্যম ও বড় ধরনের প্রায় ৪ হাজারের মতো বাগানে আম চাষ করেছে। গত বছর ১৪৭ কোটি টাকা মূল্যের ২১ হাজার টন আম উৎপাদনের পর চলতি মৌসুমে ৫,৭০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।এ বছর জেলায় আম চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ২২ হাজার টন আম উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। বাজারের বিভিন্ন সূত্র মতে জানা যায়, কৃষকরা জুন মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে আম সংগ্রহ করতে শুরু করবে এবং তা চলবে জুলাই পর্যন্ত। এ মৌসুমে আমের স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি আম ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হতে পারে। তবে কখনও কখনও এই দাম ৩০০টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।ডিএই’র উপ-পরিচালক জুলফিকার হায়দার এবং সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফজাল হুসাইন জানান, সারাদেশেই হাড়িভাঙ্গা আমটির ব্যাপক চাহিদা আছে। তাই এই আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ব্যাপক গবেষণা করলে উৎপাদন আরো বাড়ানো সম্ভব। জেআর/এমএস
Advertisement