ধর্ম

রোজার বিনিময় সম্পর্কে আল্লাহর ঘোষণা

মুসলিম উম্মাহর জন্য সফলতার অন্যতম সময় হলো পবিত্র রমজান মাস। যা কুরআন হাদিস দ্বারা সুস্পষ্ট সত্য ও প্রমাণিত। যারা যথাযথ হক আদায় করে রোজা পালন করবে; তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে উত্তম পুরস্কারের ঘোষণা।

Advertisement

যা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পবিত্র জবানিতে হাদিসে কুদসিতে বর্ণনা করেছেন। তা তুল ধরা হলো-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেবর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বনি আদমের প্রত্যেকটি আমল বৃদ্ধি করা হয়। আর প্রতিটি নেকি দশ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, সিয়াম (রোজা) ব্যতিত। কেননা সিয়াম শুধুমাত্র আমার জন্যই; এবং আমিই তার প্রতিদান দিব।

Advertisement

বান্দা আমার জন্যই তার কামনা-বাসনা ও পানাহার ত্যাগ করে। রোজাদারের দু’টি আনন্দ। একটি ইফতারির সময় আর অপরটি কিয়ামাতে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। যার হাতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন তাঁর কসম! রোজাদারের মুখের গন্ধ কিয়ামাতের দিন আল্লাহর নিকট মেস্কের চেয়েও বেশি খোশবুদার। (বুখারি ও মুসলিম)

পরিশেষে...মুসলমানের প্রতিটি নেক আমলের জন্য আল্লাহ তাআলা প্রতিদান প্রদান করবেন। আর তা যদি হয় পবিত্র মাস রমজানে তবে এর প্রতিদান এক থেকে দশ; দশতে সত্তর; সত্তর থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘোষণা রয়েছে। তবে রোজার প্রতিদান ব্যতিক্রম।

রোজার প্রতিদান কি পরিমাণ দেয়া হবে তা ঘোষণা করা হয়নি বরং এটুকু বলা হয়েছে যে, রোজা যেহেতু আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রাখা হয়, সুতরাং রোজা প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই প্রদান করবেন।

এ কারণেই কোনো রোজাদারকে ইফতার করানো হলে ইফতার প্রদানকারীকে রোজাদারের সমপরিমাণ সাওয়াব প্রদান করা হয়; রোজাদারের সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। কারণ রোজার প্রতিদান দিবেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজার যথাযথ হক আদায় করে খাঁটি রোজাদার হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণিত আল্লাহ তাআলা কর্তৃক ঘোষিত পুরস্কার লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম