বাংলাদেশের ভাগ্য এখন ইংল্যান্ডের হাতে

কেনিংটন ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি শেষ হতে পারেনি বৃষ্টির কারনে। তবে সেই বৃষ্টি ছিল যেন বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ। বৃষ্টির কারণেই ম্যাচটি পণ্ড হলো। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিলো বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া।

এরপরই স্বপ্ন উঁকি দিতে শুরু করে বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে খেলার। চলতে থাকে নানা হিসাব-নিকাশ। সেই হিসাব-নিকাশের প্রথমটি ছিল, ইংল্যান্ডের কাছে নিউজিল্যান্ডের হার। সেটি ঠিকই রচিত হয়েছে। ইংল্যান্ড বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে কিউইদের। পরের শর্ত ছিল, কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে মাশরাফিদের। হারলেই বিদায়। জিতলে টিকে থাকবে সম্ভাবনা। সেই অবিশ্বাস্য কাজটিও করে ফেলেছে টাইগাররা। সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয়টি পেয়ে গেলো বাংলাদেশ।

সব শর্ত সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেছে। আর বাকি শর্তটি পূরণ হলেই কেল্লাফতে। বাংলাদেশ উঠে যাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে। কী সেই শর্ত? ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়াকে অবশ্যই হারতে হবে। এই ম্যাচে যদি অস্ট্রেলিয়া জিতে যায়, তাহলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ জয়টির আর কোনো মূল্যই থাকবে না।

আগামীকালই (শনিবার) বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া লড়াই। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে তারা অপরাজিত হিসেবে উঠে যাবে সেমিফাইনালে। সঙ্গে সেমিতে তুলে নেমে বাংলাদেশকেও। আর যদি ইংল্যন্ড হেরে যায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়াই উঠে যাবে সেমিতে।

তবে খেলাটি যেহেতু এজবাস্টনে। সে কারণে, আশা করা যায় বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে ম্যাচটি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ফলের মুখ না দেখলে, বাংলাদেশই উঠে যাবে সেমিতে। এ ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সমান তিন পয়েন্ট কোনো কাজেই আসবে না।

সুতরাং, এখন বলাই যায়, বাংলাদেশের ভাগ্য এখন পুরোপুরি ইংল্যান্ডের হাতে। তারা জিতলেই কেবল কপাল খুলবে বাংলাদেশের। হারলে কপাল পুড়বে বাংলাদেশের।

আইএইচএস/