আন্তর্জাতিক

কাতার অন্যদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করবে না

মুসলিম ব্রাদারহুড, আল-কায়েদা, ইসলামিক স্টেট (আইএস) সহ চরমপন্থীদের সমর্থনের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে নিজস্ব পররাষ্ট্র নীতিকে বাদ দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি। নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি বাদ দিয়ে কাতার অন্যদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করবে না বলেও বৃহস্পতিবার দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্তব্য করেন তিনি। খবর আল জাজিরার।

Advertisement

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি বলছেন, আমরা আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত নই এবং কখনো আত্মসমর্পণ করব না; আমাদের পররাষ্ট্রনীতি স্বাধীনভাবে চলবে।

দোহা থেকে আল জাজিরার হাশেম আল বাররা জানান, কাতার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছে এবং তারা এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন। কুয়েতের আমির সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন। তিনি এরই মধ্যে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তির স্বপক্ষে একটি প্লাটফরম। সন্ত্রাসের পক্ষে আমরা নই। চলমান এই সংকট পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে প্রস্তুত নই। আমরা কখনোই আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিকে ধুলায় লুটাতে দেয়ার জন্য প্রস্তুত নই। সামরিকভাবে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে না বলেও মনে করেন তিনি।

Advertisement

কাতারের সংকটে খাবার ও পানি পরিবহনে তিনটি বন্দরকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে ইরান। তবে ওই প্রস্তাব এখনও দোহা গ্রহণ করেনি। কাতার আমদানিনির্ভর খাবারের ওপর ৮০ শতাংশ নির্ভর করে। চলমান সংকট একদিকে যেমন খাদ্য মজুদ প্রবণতা বাড়িয়েছে, অন্যদিকে খাবারের স্বল্পতাও তৈরি করেছে।

এখন পর্যন্ত আটটি দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এর আগে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সর্বশেষ সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে জর্ডান।

এতে করে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছে কাতার। একঘরে অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কাতারকে ইসলামপন্থী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে বলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবাইর মন্তব্য করার পর কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের বিবৃতি দিলেন।

কেএ/পিআর

Advertisement