আন্তর্জাতিক

সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কনজারভেটিভ

সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ব্রিটেনের কনজারভটিভ দল। ফলে আগাম নির্বাচনের ফলাফল ব্রিটেনকে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খবর বিবিসির।

Advertisement

যে কয়েকটি আসনে ফল ঘোষণা বাকি আছে সেগুলো দিয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। কনজারভেটিভ দল ৩১৬টি আসনে এবং লেবার পার্টি ২৬৫ আসনে জয় লাভ করেছে। অপরদিকে, লিবারেল ডেমোক্র্যাট ১৩টি এবং স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট দল ৩৪টি আসনে জয়লাভ করেছে।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩২৬টি আসন। তবে উত্তর আয়ারল্যান্ড-ভিত্তিক ডিইউপি জানিয়েছে, তারা প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে সরকার গঠন করতে সমর্থন জানাবেন।

নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্য খুবই অপমানজনক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সরকারের মেয়াদ শেষ হবার তিন বছর আগেই থেরেসা মে এই আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন।

Advertisement

তার আশা ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছেড়ে দেয়ার পর আরো বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনার টেবিলে তার হাত শক্তিশালী হবে। কিন্তু ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। তাই মের আশাপূরণ নাও হতে পারে।

আগাম নির্বাচনের ফলাফলের আগেই বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর থেরেসা মের এখন চলে যাওয়া উচিত। লন্ডনের ইসলিংটনে নিজের আসনে বিপুল ভোটে জয়ের পর করবিন বলেন, এই নির্বাচন ডাকা হয়েছিল সরকারকে নতুন ম্যান্ডেট দেয়ার জন্য। ম্যান্ডেট তিনি পেয়েছেন হারানো আসন, হারানো ভোট, হারানো কর্তৃত্বের মাধ্যমে।’

করবিন আরো বলেন, তার চলে যাওয়া উচিত যাতে এমন একটি সরকার আসতে পারে যারা সকল নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু মে বলছেন, তার দল যুক্তরাজ্যে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

এদিকে, কনজারভেটিভ পরবর্তী সরকার গঠন করতে পারবে কীনা শুধু তা নিয়েই নয় বরং থেরেসা মে তার পদ ধরে রাখতে পারবেন কীনা তা নিয়েও কনজারভেটিভ দলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

মে তার উপদেষ্টাদের নিয়ে কনজারভেটিভ সদর দপ্তরে আলোচনায় বসেছেন। মের সাবেক মন্ত্রী অ্যানা সব্রি বলেছেন, তার ভবিষ্যত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এখন ভাবা উচিত। রাজনীতির ভাষায় এটা পদত্যাগের আহ্বান।

কোনো কোনো কনজারভেটিভ সদস্য অবশ্য সতর্ক মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন, এখন কিছুটা ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার প্রয়োজন।

লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন, ডেভিড ক্যামেরন ইইউ গণভোট নিয়ে জুয়া খেলেছিলেন। যে কারণে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে হয়েছিল। একইভাবে থেরেসা মে মেয়াদের তিন বছর বাকি থাকতে নির্বাচন দিলেন, যেটার প্রয়োজন ছিল না। তিনিও জুয়া খেলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে ছুঁড়ে দিয়েছেন।

কনজারভেটিভ পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলেই পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। হয়ত অন্য দলের সাহায্য নিয়ে কনজারভেটিভ সরকার গঠন করতেও পারে কিন্তু এতে মে নিশ্চিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল ভাবমূর্তি ধূলায় লুটিয়ে যাবে।

টিটিএন/জেআইএম