২০১৭ সালের মধ্যে ভারত থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি। এর মধ্যে ২০১৫ সালের পালাটানা থেকে ১০০ মেগাওয়াট এবং ২০১৭ সালের আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে।বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতা সম্পর্কিত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ৯ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ কথা জানানো হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব শ্রী পি কে সিনহা।সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাত সংক্রান্ত বিরাজমান বিষয়সমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বহরমপুর (ভারত)-ভেড়ামারা (বাংলাদেশ) গ্রিড ইন্টার-কানেকশনের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।একই সঙ্গে বহরমপুর-ভেড়ামারা বিদ্যমান লাইনের মাধ্যমে ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে আরো ৩০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসংযোগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাল্টি টার্মিনাল এইচভিডিসি বাই-পোল সঞ্চালন লাইন নির্মাণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনার অগ্রগতিও পর্যালোচনা করা হয়।সভায় রামপালে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানী কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। স্টিয়ারিং কমিটি এ সকল কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।এছাড়াও সভায় নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি ও ভারতের বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃক বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরে দিল্লীতে বিদ্যুৎ খাত সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ৮ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এসআই/আরএস/পিআর
Advertisement