ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িয়ে নিন্দিত, সমালোচিত ও ক্রিকেট থেকে ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ আশরাফুল নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েও তেমন আলোচনায় আসতে পারেননি; কিন্তু সময় আর উদ্ভুত পরিস্থিতি তাকে নিয়ে এসেছে আবার পাদপ্রদীপের আলোয়।
Advertisement
এক যুগ আগে যে শহরের, যে মাঠে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অনন্য, অসাধারণ একটি সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয় উপহার দিয়েছিলেন আশরাফুল। সেই কার্ডিফে রাত পোহালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি মাশরাফির দল।
কাল ৯ জুন গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের হারাতে পারলে টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা হবে উজ্জ্বল। নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ আগেও হারিয়েছে। ঘরের মাঠে এখনো টানা সাত জয়ের রেকর্ড অটুট।
আর ঠিক ১৫ দিন আগে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে তিন জাতি টুর্নামেন্টে কিউইদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফির দল। সেই জয়ের সুখস্মৃতি অবশ্যই বড় অনুপ্রেরণা; কিন্তু এবারের ভেন্যু যেহেতু কার্ডিফ, তাই ঘুরে ফিরে ১২ বছর আগের সেই ম্যাচের কথাই উঠছে বেশি। সে ম্যাচে অজিদের হারানোর ভেন্যুতে এবার কিউই বধের মিশন- তাই কার্ডিফকে সাফল্যের পয়মন্তঃ ভেবে অনুপ্রাণিত টিম বাংলাদেশ।
Advertisement
সে ম্যাচে আশরাফুলের অনবদ্য ও ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির কথাও এখন অনেকের মুখে মুখে। গ্লেন ম্যাকগ্রা, জেসন গিলেস্পি, মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচ আর ব্র্যাড হগের মত ভয়ঙ্কর বোলারের সমাহারে গড়া অজি বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে ১০১ বলে ১০০ রানের হীরক খচিত ইনিংস সাজিয়ে যিনি এনেছিলেন ঐতিহাসিক জয়, সেই আশরাফুল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওই অবিস্মরনীয় জয়ের কথা কি ভাবছেন?
মাঝে পাতানো খেলায় জড়িয়ে নিন্দার কাঁটা গায়ে মেখে আর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় পড়ে কি সে স্মৃতি ধুসর হয়ে গেছে? নাহ মোটেই না। আশরাফুলের স্মৃতিতে এখনো ভাস্বর ২০০৫ সালের ১৮ জুন কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে অজিদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার স্মৃতি।
শুনে অবাক হবেন, সে ম্যাচের নানা ঘটনা ও প্রায় সারা দিনের দৃশ্যপট তার মনের আয়নায় উজ্জল হয়ে আছে। তাই তো আজ জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সে দিনের ঘটনাপ্রবাহগুলো একের পর এক মুখস্ত বলে দিলেন আশরাফুল।
যে কারো মনে হবে নিশ্চয়ই ম্যাচের ভিডিও ক্লিপ দেখে বুঝি স্মৃতিচারণ করেছেন। আসলে তা নয়। আশরাফুল এমনই। ম্যাচ ফিক্সিং তার কৃতিত্ব, অর্জন আর কীর্তি ঢাকা পড়লেও আশরাফুল সত্যিই মেধাবি। একজন অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানই নন, তার স্মৃতিশক্তিও বেশ প্রখর।
Advertisement
আশরাফুল জানালেন, ‘কার্ডিফের সেই আমার জীবনের অবিস্মরনীয় এক ম্যাচ। যে ম্যাচের স্মৃতি কোনভাবেই ভোলার নয়।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম