রাজধানীর শাজাহানপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার স্বয়ং বাদীও জড়িত বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
Advertisement
ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর থানাধীন বাগিচা (ঝিলপাড়) এলাকা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক সাব্বির ওরফে সাব্বির আহমেদকে আটক করে ঢাকা মেট্রোর পিবিআই।
পিবিআই জানায়, ধর্ষণের ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এবার স্বয়ং বাদীর নাম অন্তর্ভুক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মামলার বাদী দক্ষিণ মুগদার (বাসা নং- ১০১/০৪/বি) বাসিন্দা কাবেরীন আক্তার স্বপ্না (২৫)। ওই বাসায় ২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল দুপুরে সকলের অনুপস্থিতিতে স্বামীর পূর্বপরিচিত সাব্বির কাজের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ আনা হয়।
Advertisement
ওই ঘটনার পর বাদী দক্ষিণ মুগদার বাসাটি ছেড়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর শাজাহানপুর থানাধীন গুলবাগের ৪০৮নং ভাড়া বাসায় নিজের মেয়ে ও কাজের মেয়েসহ বসবাস শুরু করেন। ওই বছরের ২০ নভেম্বর কাবেরীন আক্তার স্বপ্না বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী- ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় শাজাহানপুর থানার মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪।
ভিকটিম শিশুটি ২০১৪ সালেল ২৩ নভেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। আদালতের নির্দেশে ওই দিনই ভিকটিমের ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিসার নুজহাত আন্দালীব প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ১২ বছরের শিশুটির সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
পিবিআই ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আলোচিত মামলাটি শাজাহানপুর থানা পুলিশ প্রথমে তদন্ত করে আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়। পরে আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই’কে দায়িত্ব দেন।
পিবিআই পরিদর্শক মোহাম্মদ শামীম আহমেদ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। তদন্তে সাব্বিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ পান। বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সাব্বিরকে শাজাহানপুর ঝিলপাড় এলাকা থেকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই’র কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন গ্রেফতার সাব্বির। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দীর্ঘদিন আমেরিকায় থেকে ২০০৫ সালে তিনি দেশে আসেন। মামলার বাদী স্বপ্নার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। স্বপ্নার মাধ্যমে এবং তার সহযোগিতায় কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করে সে।
তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, ধর্ষণের ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এবার স্বয়ং বাদীর নাম অন্তর্ভুক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
জেইউ/এমএআর/জেআইএম