আইন-আদালত

খালেদার দুই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জুন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এদিন বেলা ১১টা ১১ মিনিটে আদালত চত্বরে উপস্থিত হন বেগম খালেদা জিয়া।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ (বৃহস্পতিবার) খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল। বক্তব্য শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে পুনরায় জেরা করার সময়ের আবেদন করেন।

Advertisement

আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৫ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও এদিন (বৃহস্পতিবার) সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে ১৫ জুন দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও জিয়া উদ্দিন জিয়া।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জেএ/এমএআর/পিআর