একেই বলে পাকিস্তান। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, আহত বাঘের মত গর্জে ওঠে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। র্যাংকিংয়ে কে কোথায় অবস্থান করছে, সেটা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। প্রয়োজনের সময় ঠিকই জ্বলে ওঠে তারা।
Advertisement
এই যেমন, ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকার। র্যাংকিংয়ে এক নম্বর দলের মোকাবেলায় আট নম্বর দল। পাকিস্তানের উড়ে যাওয়ারই কথা; কিন্তু উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকাকেই উড়িয়ে দেয়ার জোগাড় পাকিস্তানের। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে প্রোটিয়াদের ১৯ রানে হারিয়ে সেমির আশা টিকিয়ে রাখলো সরফরাজ আহমেদের দল।
বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনের এই মাঠেই পাকিস্তানি বোলারদের কাছ থেকে ৪৮ ওভারে ৩১৯ রান তুলেছিল ভারত। সেই একই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে মাত্র ২১৯ রান তুলতে সক্ষম হলো।
প্রোটিয়াদের কম রানে বেধে রাখার ক্ষেত্রে মূল কৃতিত্বটা পাকিস্তানি বোলারদেরই। বিশেষ করে হাসান আলি আর ইমাদ ওয়াসিমই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন আতঙ্ক হিসেবে। হাসান আলি ৮ ওভারে দেন মাত্র ২৪ রান এবং নেন ৩ উইকেট। ইমাদ ওয়াসিমও ৮ ওভারে দেন মাত্র ২০ রান। নেন ২ উইকেট।
Advertisement
জয়ের জন্য ২২০ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজহার আলি আর ফখর জামান সূচনাটা ভালো করেন। তবে দলীয় ৪০ রানের মাথায় ফখর জামান আউট হয়ে যান ৩১ রান করে। অভিষিক্ত ফখরই মূলতঃ পাকিস্তানের রান এগিয়ে দেন। ১ রান যোগ করে আজহার আলিও আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৯ রানে।
দলীয় ৯৩ রানে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজও। তিনি করেন ২৬ রান। বাবর আজম এক পাশ আগলে রেখে ঠিকই পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে ছিলেন শোয়েব মালিক। বাবর ৩১ এবং শোয়েব মালিক ১৬ রানে থাকতেই নামে বৃষ্টি। এ সময় পাকিস্তানের রান ২৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৯।
বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত আর থামেনি। খেলাও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলো না। কারণ, প্রয়োজনীয় ২০ ওভার ব্যাট করে ফেলেছে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে যখন খেলা হচ্ছে না, তখন বৃষ্টি আইন ডাকওয়ার্থ-লুইস (ডি/এল) মেথড প্রয়োগ করা হয়। এতে দেখা গেলো জয়ের জন্য ২৭ ওভারে প্রয়োজন পাকিস্তানের ১০১ রান। তারা ইতোমধ্যেই করে ফেলেছে ১১৯ রান। ফলে পাকিস্তানকে ১৯ রানেই জয়ী ঘোষণা করা হয়।
আইএইচএস/
Advertisement