ইরানের পার্লামেন্ট ও দেশটির বিপ্লবী প্রতিষ্ঠাতা রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিস্থলে আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুক হামলার পর অারেকটি হামলা চেষ্টা রুখে দেয়ার দাবি করেছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে দেশটিতে পৃথক দুটি হামলায় ১২ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছে।
Advertisement
ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইরানে প্রথমবারের মতো কোনো হামলার দায় স্বীকার করল এই জঙ্গি সংগঠনটি। পরে হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আইএস।
ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, পরপর দুটি হামলার পর আরেকটি হামলা চেষ্টা রুখে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা বলছেন, বন্দুকধারীরা নারীদের পোশাক পরে সাধারণের প্রবেশপথ দিয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিল।
দেশটির আধা-সরকারি সংবাদসংস্থা আইএসএনএ বলছে, রাইফেল ও পিস্তল নিয়ে চার বন্দুকধারী তেহরানের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়েছে। ভবনের চতুর্থ তলায় এক হামলাকারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে। এরপর নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ।
Advertisement
আইএস-এর মুখপত্র আমাক বলছে, ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধারা খোমেনির সমাধি ও ইরানের পার্লামেন্টে হামলায় অংশ নিয়েছে। আইএসের অপর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, খোমেনির সমাধিস্থলে হামলা চালিয়েছে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী।
ইরানের সংসদের স্পিকার আলি লারিজানি বলছেন, এটা ছোট-খাট ইস্যু। প্রায় কাছাকাছি সময়ে একযোগে তেহরানের পৃথক দুই স্পর্শকাতর জায়গায় এমন এক সময় হামলা হল, যখন আইএসকে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন ৮ মুসলিম দেশ। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের এই একঘরে হয়ে পড়ার পেছনে ইরানের প্রতি দোহার সমর্থনের বিষয়টিও কাজ করছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।
এর আগে গত মাসে সৌদি আরবে এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানবিরোধী অবস্থান নিতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র : বিবিসি।
Advertisement
কেএ/এসআইএস/পিআর