বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বাড়ি নিয়ে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের অনেকে বাড়ি জবর দখল করে আছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি’র (বসুন্ধরা) পুষ্পগুচ্ছ হল রুমে ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।তিনি বলেন, মওদুদ সাহেব ওই বাড়িতে ৩০ বছর ছিলেন। আমিও আমার বাড়িতে ৪০ বছর ছিলাম। আমাকে এক কাপড়ে বের করে দেয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজদেরও জনগণ এক কাপড়ে বের করে দেবে।খালেদা জিয়া বলেন, হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে সেখানে সবার অংশগ্রহণ হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। মানুষ পরিবর্তন চায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। হাসিনাকে সরিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।তিনি বলেন, দেশে কি অবস্থা সবাই জানেন। যারা ক্ষমতায় বসে আছে, গায়ের জোরে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে আছেন। মানুষের যে দূরবস্থা এর দিকে নজর নেই। দেশের মানুষ ভালো খেতে পারে না। বেশিভাগ মানুষ বেকার তারপরও এরা (আওয়ামী লীগ) বড় বড় কথা বলে কাজ করে যাচ্ছে, মিথ্যা কথা বলে টিকে আছে।সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেটে লাভবান হবেন শুধু তারা, যারা ক্ষমতায় আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের সাধারণ মানুষ। নিজেদের দলের লোকের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রশাসনে চলছে লুটপাট। দখল, জবর দখল করে ক্ষমতায় আছে।শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এমনটা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ চায় পরির্বতন। চায় আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচন, যে নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে নয়। হাসিনার অধীনে সবাই নির্বাচনে অংশ নিবে না। কমিশন চাইলে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে না। সেই জন্যই প্রয়োজন হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ইসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকারের চাটুকারিতা না করে, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটান। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ড. মামুন আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, সহ নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি।পেশাজীবীদের মধ্যে ছিলেন প্রকৌশলী আ ন হ আক্তার হোসেন, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জাকির হোসেন, সাংবাদিক এম এম আজিজ, মাহফুজ উল্লাহ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
Advertisement
এমএম/এসএইচএস/আরআইপি