বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের গুলশানে-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বুধবার দুপুর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালিউর রহমানের নেতৃত্বে বাড়িটিতে অভিযান শুরু হয়।
Advertisement
অভিযানের শুরুতে বাড়িটির গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজউক অঞ্চল-৪ এর অথরাইজড অফিসার আদিলুজ্জামান।
তিনি বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী আজ (বুধবার) দুপুরের পর থেকে আমরা ওই বাড়িটিতে অভিযান শুরু করেছি। অভিযানে পুলিশসহ রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শুনেছি তার (মওদুদ) বাসায় পুলিশ ঢুকেছে। কেন ঢুকেছে তা জানি না।’
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন (রোববার) ওই বাড়ি নিয়ে করা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
গত বছরের আগস্টে গুলশান-২ নম্বরের বাড়িটি মওদুদের ভাই মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন (নামজারি) ও ডিক্রি জারি করতে হাই কোর্টের দেয়া রায় আপিল বিভাগে বাতিল হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে রাজউক বাড়িটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেবে বলে দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল।
এক বিঘা ১৩ কাঠা জমির উপর ওই বাড়ি অবৈধভাবে দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় মওদুদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।
অভিযোগে বলা হয়, গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ আহমদ ও তার পরিবার থাকছেন, তার প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এই বাড়ির মালিকানা এহসান পান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্র এহসানের স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে নিবন্ধন করা হয়।
Advertisement
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ওই বছরই মওদুদ ওই বাড়ির দখল নেন। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ অগাস্ট তারিখে তিনি ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে একটি ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করান এবং নিজেকে তার ভাড়াটিয়া হিসেবে দেখিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।
এআর/এমএম/আরএস/পিআর