জার্মানিতে গর্ভবতী অভিবাসী নারীরা স্থায়ী বসবাসের জন্য অভিনব উপায় বের করেছে। তারা তাদের অনাগত সন্তানের ভুয়া পিতা বানাচ্ছেন জার্মান পুরুষদের। সেজন্য তাদের মোটা অঙ্কের টাকাও দিচ্ছেন সেসব অভিবাসী নারীরা। আর এই সংখ্যাটাও কম নয়। খবর বিবিসির।
Advertisement
জার্মান সম্প্রচার মাধ্যম আরবিবি তাদের এক অনুসন্ধানে জানিয়েছে, বার্লিনেই এমন ৭০০টি ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও লোকচক্ষুর আড়ালেও এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ওলে স্ক্রোডার এমন চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন।
ভিয়েতনাম, আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের বহু অভিবাসী নারী আছেন যারা জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। তারাই মূলত জার্মান পুরুষদের তাদের সন্তানের ভুয়া পিতা বানাচ্ছেন।
Advertisement
আরবিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুয়া পিতা বা অভিভাবক বানানোর এই প্রবণতা মোকাবেলা করার জন্য নতুন একটি আইনের খসড়াও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
যেসব অভিবাসী নারী গর্ভবতী তারা তাদের সন্তানের ভুয়া পিতা বানানোর জন্য পাঁচ হাজার ইউরো পর্যন্ত খরচ করছেন। একবার যদি ওই সন্তানের নাম রেজিস্টার হয়ে যায় তাহলে সে জার্মান নাগরিক এবং সেই সঙ্গে ওই শিশুর মাও জার্মানির নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।
তবে আফ্রিকা, এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা অভিবাসীদের তুলনায় শরণার্থীরা জার্মানিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ সহজেই পেয়ে যান।
২০১৫ সাল থেকেই জার্মানিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার রীতিনীতি কিছুটা কঠোর করা হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে প্রায় আট লাখ শরণার্থী জার্মানিতে আশ্রয় নেয় সেসময়।
Advertisement
যদিও অভিবাসন রীতিতে একটু কড়াকড়ি জারি করার পর ২০১৬ সালে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যাও কমে যায়। তবে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের আগে জার্মানিতে অভিবাসন ইস্যুটি একটি বড় ইস্যু ।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ন্যাশনালিস্ট অলটারনেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি অভিবাসনের বিরোধিতা করে করায় জনগণের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে।
স্ক্রোডার বলছেন, অভিবাসন বিষয়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা অনেক এমন ঘটনার প্রমাণ পাচ্ছি যে ভুয়া পিতা হয়ে অনেকেই টাকা উপার্জন করছে। এটা আসলে একধরনের অপরাধ। কোনোভাবেই এটা সমর্থন করা যায় না।
এআরডি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকার আইনজীবী মার্টিন স্টেল্টনার বলেছেন, অনেকে এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে নিচ্ছেন। তিনি এমন এক ব্যক্তিকে পেয়েছেন যিনি নিজেকে ১০ সন্তানের বাবা বলে দাবি করেছেন।
টিটিএন/এমএস