প্রথম ম্যাচেই ভারতের কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হতে হয়েছে পাকিস্তানকে। বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দেয়নি বিরাট কোহলির দল। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা দল দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
Advertisement
আজ হারলেই বিদায় নিশ্চিত। আর জিতলে টিকে থাকবে সম্ভাবনা। বাঁচা-মরার লড়াই- এটাকে মাথায় রেখেই প্রোটিয়াদের মোকাবেলা করতে নামবে সরফরাজ আহমেদের দল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে শুরু হবে ম্যাচটি।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে অবশ্য আজ পাকিস্তানের সঙ্গেও মোকাবেলা করতে হবে আরেক আফ্রিকানের। তিনি মিকি আর্থার। পাকিস্তানের কোচ। আর্থারের মতে, পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই লড়াইয়ে ফিরবে। অথচ প্রথম ম্যাচেই এই দক্ষিণ আফ্রিকা বিধ্বস্ত করে ছেড়েছিল শ্রীলঙ্কাকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় ভারত-পাকিস্তানকে আখ্যা দেয়া হয়েছিল, ‘মাদার অব অল মিস ম্যাচেস।’এই অবস্থায় আইসিসি র্যাংকিংয়ে এক নম্বর দলের মোকাবেলা করবে আট নম্বর দল। পরিস্থিতিটা কোন পর্যায়ে দাঁড়াতে পারে? এসব কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই পাকিস্তান কোচ আশাবাদী, তার নিজের দেশের বিপক্ষেই বাউন্স ব্যাক করবে তার দল।
Advertisement
‘বি’ গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যেই একটি করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। একটি করে হেরেছে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। আজ প্রোটিয়াদের কাছে পরাজয় মানেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। একই সঙ্গে প্রোটিয়াদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত। সুতরাং, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতই অবস্থা পাকিস্তানের। আর চিরকালই আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান, এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ায়।
পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের মতেও পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শক্তিশালী মেনেই মন্তব্য করলেন সরফরাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সত্যিই খুব ভালো একটি দল। তাদের শক্তি এবং টিম কম্বিনেশন চিন্তা করেই আমরা পরিকল্পনা সাজিয়েছি এবং কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’
অধিনায়ক হিসেবে সরফরাজ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি যে, তাদের বিপক্ষে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো। খেলোয়াড়রাও এ বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছে। আমরা তাদেরকে বলে দিয়েছি, কোন চাপ ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে হবে। আমি আশাবাদী যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই হয়তো আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।’
পাকিস্তানের অন্যতম পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ইতিমধ্যেই ছিটকে গেছে টুর্নামেন্ট থেকে। তার পরিবর্তে আজ কাকে খেলানো হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। রিয়াজের পরিবর্তে দলে নেয়া রুম্মন রইস নাকি জুনায়েম খান নাকি ফাহিম আশরাফ- নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে কাগিসো রাবাদা, মরনে মর্কেল, ওয়েইন পারনেল কিংবা ক্রিস মরিস। এই চার পেসারের সঙ্গে রয়েছেন স্পিনার ইমরান তাহির। দুর্দান্ত বোলিং শক্তি প্রোটিয়াদের।
Advertisement
সঙ্গে ব্যাটিং লাইনআপ তো বলতে গেলে বিশ্বসেরা। হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডু প্লেসিস, জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলাররা বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। ক্রিস মরিস এবং ওয়েইন পার্নেল- অলরাউন্ডার। দারুণ ব্যাটিং করতে পারে। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে আজহার আলি, মোহাম্মদ হাফিজ আর শোয়েব মালিকছাড়া উল্লেখ করার মত আর কেউ নেই। যদিও এরা সবাই রয়েছে অফ ফর্মে। আজহার আলিই যা একটু ভরসা। ভারতের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি।
আইএইচএস/এমএস