ধর্ম

রমজানে ক্ষমা লাভের বিশেষ ইবাদত

আজ সন্ধ্যা থেকেই শুরু হবে পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় দশক মগফেরাতের দশক। যারা পবিত্র রমজানের রহমতের দশকে আল্লাহ তাআলার রহমত লাভে ধন্য হয়েছেন তাদের জন্য মাগফেরাতের সুনিশ্চিত।

Advertisement

এ দশকে বান্দার একমাত্র কাজ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে বিগত জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তি লাভ করা। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোনাহ মাফের অনেক পন্থা বর্ণনা করেছেন।

পবিত্র রমজান মাসে গোনাহ মাফের অন্যতম উপায় হলো রাতের ইবাদত তারাবিহ নামাজ পড়া এবং রোজাদারকে ইফতার করানো। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবি হাদিসে বর্ণনা করেছেন-

মুসলিম উম্মাহ জন্য রমজান মাসে তারাবিহ নামাজকে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র নিজেদের গোনাহ মাফের সুযোগ হিসেবে। তাই প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উচিত তারাবিহ নামাজ আদায় করা।

Advertisement

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ আদায়ের জন্য উৎসাহিত করতেন, তবে তিনি (সরাসরি) তাগিদ সহকারে আদেশ করতেন না; বরং তিনি এভাবে বলতেন- ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানের সঙ্গে ও সাওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজান মাসে নামাজ (তারাবিহ পড়ে) আদায় করে; তার বিগত (জীবনের) সব (সগিরা) গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (মুসলিম, মিশকাত)

তারাবিহ নামাজ ছাড়াও গোনাহ মাফের আরেক কার্যকরী আমল হলো- রোজাদারকে ইফতার করানো। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-

‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গোনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে। সে দোজখ থেকে মুক্তি পাবে আর সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, কিন্তু এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কিছুই ঘাটতি হবে না।

সুতরাং মাগফিরাতের দশকের শুরেুতে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান, ‘গোনাহ মাফের লক্ষ্যে তারাবিহ নামাজ আদায়ের পাশাপাশি গরিব-দুঃখী ও অসহায় পাড়া-প্রতিবেশির মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে মাগফেরাতের দশকে গোনাহ মাফে এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ক্ষমা লাভের দশকে তারাবিহ নামাজ আদায় এবং গরীব-দুঃখী ও অসহায় পড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে ইফতার বিলানোর মাধ্যমে গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর