২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোন গ্রাহকদের স্বার্থ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার রাজধানীর নির্মলসেন মিলনায়তনে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মহউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি গ্রাহকদের সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এ সেক্টরকে বিনিয়োগ বান্ধব করে জনগণের জন্য সহজলভ্য করা। কিন্তু সরকার বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও দেশের সব চেয়ে বড় ভোক্তা খাতকে বঞ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, এ খাতে গ্রাহকদের প্রথম প্রয়োজন একটি হ্যান্ডসেট। কিন্তু এই হ্যান্ডসেটের উপর পূর্বের ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জ, অগ্রীম আয়করসহ মোট ২৩.৭৫ শতাংশ দিতে হতো। কিন্তু এবার বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ বাজার মূল্যের উপর মূল্য সংযোজনের ১৫ শতাংশ মোট ৩৪.৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পণ্য ও সেবা সমূহের মূল্য নির্ধারণ করে বাজার মনিটরিং করা, মোবাইল হ্যান্ডসেটের উপর বর্ধিত কর ১০.৭৪ শতাংশ প্রত্যাহার করা, মুঠোফোনের কলচার্জ ও ইন্টারনেটের উপর অর্পিত কর হ্রাস, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সার্ভিস চার্জ কমানো এবং ই-বর্জ্য পরিশোধন ও রি-সাইকেলিং করার নির্দেশনা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে বাজেটকে গণমুখী বাজেট করা।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে মুঠোফোন ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। আর মেবাইল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। এশিয়া মহাদেশে প্রথম। তবে এ কথাও ঠিক, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পিছিয়ে পড়া দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৪তম। কারণ মূলত ৪টি। ধীর গতির ইন্টারনেট সেবা, উচ্চ মূল্যের ইন্টারনেট, ইন্টারনেটের ব্যবহারযোগ্য হ্যান্ডসেট ও কম্পিউটারের দাম নাগালের বাইরে এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব।
আমাদের পক্ষ থেকে সুপারিশ থাকবে দক্ষ জনবল ও দেশে শিল্প কারখানা গড়ে না ওঠা পর্যন্ত মুঠোফোন আমদানীর উপর অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হোক। অন্যদিকে মুঠোফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে ভ্যাট কমানো নিয়ে অর্থমন্ত্রী কোনো হস্তক্ষেপ না করায় আমরা হতাশাগ্রস্থ।
সংবাদ সম্মেলনে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবিদা আক্তার, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/আরএস/এমএস
Advertisement