দেশজুড়ে

খাদ্য সহায়তা পেলেন হাওরের এক হাজার জিরাতি কৃষক

কিশোরগঞ্জের হাওরে আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাধ্যমতো সহায়তা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু যারা বাইরের এলাকা থেকে গিয়ে জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেছেন তারা এখনও বঞ্চিত সরকারি ত্রাণ সহায়তা থেকে। স্থানীয়ভাবে জিরাতি নামে পরিচিত এসব কৃষকের বাড়ি দুর্গত এলাকায় না হওয়ায় তারা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন ভাগ্য বিড়ম্বিত জিরাতি কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন করিমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. এরশাদ উদ্দিন।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়াসহ তিনটি ইউনিয়নের এক হাজার কৃষক পরিবারের মাঝে এ ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষক পরিবারকে ১৫ কেজি চাল, এক কেজি ডাল ও এক লিটার তেল দেয়া হয়। বালিকলা বাজারে তাদের হাতে সহায়তা তুলে দেন এরশাদ উদ্দিন মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো. এরশাদ উদ্দিন। সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাঠের ফসল হারিয়েও কারও কাছে হাত পাততে পারছিলেন না জিরাতিরা। কেউ তাদের সহায়তা করতেও আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি জিরাতি কৃষকরা।

ব্যবসায়ী এরশাদ উদ্দিন বলেন, হাওরের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে জিরাতি হিসেবে বোরো ধানের আবাদ করেন করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলার হাজার হাজার জিরাতি কৃষক। বাড়ি দুর্গত এলাকার বাইরে হওয়ায় তারা কোনো ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না। তাই গত এক মাস বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিজের হাতে জিরাতি কৃষকদের তালিকা করেছি। তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছি নিজের হাতে। করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সকল জিরাতি কৃষকদের সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

নূর মোহাম্মদ/আরএআর/জেআইএম