আন্তর্জাতিক

সংকটের মুখে কাতারের পারফিউম ব্যবসা

সংকটের মুখে পড়তে পারে কাতারের পারফিউম ব্যবসা। উপসাগরীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, আরব আমিরাত, লিবিয়া এবং ইয়েমেন। কাতারের সঙ্গে ছয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর বিবিসির।

Advertisement

কাতারে ব্যবসা করছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী শরিফুল হক সাজু। গত ১৮ বছর যাবত কাতারের রাজধানী দোহায় ব্যবসা করছেন তিনি।

দুবাই থেকে পারফিউম আমদানি করে কাতারে বিক্রি করেন তিনি। পারফিউমের এ ব্যবসা ভালোই চলছিল। প্রতিবছর রমজান মাসে পারফিউম বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি।

কিন্তু কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে এবার বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের এ ব্যবসায়ী।

Advertisement

এসব দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে পণ্য আমদানি নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন সাজুর মত ব্যবসায়ীরা।

এ সম্পর্কে সাজু বলেন, ‘দুবাইতে বিভিন্ন দেশ থেকে পারফিউম আসে। সেখান থেকে আমরা আমদানি করি। আমি যখন দুবাইতে কথা বললাম তখন তারা জানালেন পারফিউম আর যাবে না।’

কারণ দুবাই থেকে কাতারে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। যদি এভাবে পণ্য না আসে তাহলে সেটি কাতারের মানুষের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সোমবার থেকে কাতারে স্থলপথে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে অর্থাৎ দোহায় সৌদি ক্রেতা অনেক। সড়ক পথে সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের সীমান্ত দিয়ে কোনো পণ্য আসবে না। সৌদি আরবের অনেক নাগরিকও দোহা সিটি থেকে কেনাকাটা করেন। কিন্তু সৌদিসহ বেশ কয়েকটি দেশ কাতারে তাদের নাগরিকদের ভ্রমণের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে।

Advertisement

সৌদি আরব থেকে ক্রেতা আসলে দোহা শহরে ব্যবসা ভালো হয় বলে উল্লেখ করেছেন সাজু। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সৌদি আরব এবং কাতার মিলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে।

তবে বর্তমান অচলাবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পারফিউম ব্যবসায়ীরা। কারণ সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং আরব আমিরাতে পারফিউম শিল্প গড়ে উঠেছে।

ফলে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত থেকে যদি সড়ক পথে পারফিউম আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেটি ব্যবসার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

টিটিএন/এমএস