দেশজুড়ে

বিদ্যালয় সরকারিকরণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাহাদুরসাদী ইউনিয়নে যথাযোগ্য পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ঈশ্বরপুর খামারবাড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন পরিত্যক্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৫ বছর সময় ধরে সরকারিকরণ না হওয়ায় বর্তমানে এর সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যাতে করে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভ।জানা যায়, ঈশ্বরপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব ডা. খুদে নেওয়াজ এলাকার শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করার লক্ষ্যে ২০০০ সালে ঈশ্বরপুর গ্রামে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জন্ম থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঈশ্বরপুর খামারবাড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পথ চলা শুরু করে। আর এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে শিক্ষানুরাগী খুদে নেওয়াজ ৩৫ শতাংশ জমি দান করেন। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও তার জীবদ্দশায় তিনি এ বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করে যেতে পারেনি। বর্তমানে যথাযোগ্য পৃষ্ঠপোষকতা ও সরকারিকরণের অভাবে বিদ্যালয়টি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।ঈশ্বরপুর গ্রামের কাইয়ুম সরকার জাগো নিউজকে জানান, বেসরকারি এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের অনুদানে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য পাঁচ রুম বিশিষ্ট একটি টিন সেট বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। আর বিদ্যালয়টি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫০ লক্ষ্য টাকার সম্পদ নিয়ে এটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় কালের সাক্ষী হয়ে আছে।বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বাবুল বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতাসহ আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সরকারিকরণের চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগে বার বার ধন্যা দেওয়া সত্তেও কোনো ফল পাইনি। অবশেষে বিদ্যালটি পরিত্যক্ত হয়ে আছে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিত্যক্ত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টির কার্যক্রমের ব্যাপারে আমার দফতরে কোনো তথ্য নেই। তাছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলায় বেসরকারি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়েছে। আমার জানা মতে এখানে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় স্থানীয়রা বিদ্যালয়টির আঙ্গিনায় খড়-কুটো শুকাচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যালয়টির দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র রয়েছে অরক্ষিত। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী বেসরকারি এ বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।আব্দুর রহমান আরমান/এআরএ/আরআই

Advertisement