কৃষি ও প্রকৃতি

রূপ-সৌরভে মেতেছে বৃক্ষমেলা

একটি ড্রামের ভগ্নাংশ মাটিতে ভরাট করা। তার মাঝে চিকন একটি আম গাছ। নাম জাম্বুরা আম। দেখতে ঠিক মাঝারি আকারের জাম্বুরার মতোই। আমের ভরে গাছটি প্রায় নুয়েপড়া অবস্থা। আমের ভর সইতে গাছটি ঘেঁষে খুঁটি পোতা।

Advertisement

জাম্বুরা আমের পাশেই সিঁদুর রঙ্গা আমের জাত তোতাপুরি। আমের ভিরে গাছ দেখা দায়। গাছটির পাতা গুণতে সহজ, আম নয়। বরিশাল নার্সারিতে প্রায় শতেক পদের আম রাখা হয়েছে। আম আছে প্রায় প্রতিটি গাছেই। দেখে মনে হবে কোনো চিত্রশিল্পী ক্যানভাসে রঙতুলির আচরে আম বাগানের ছবি আঁকছেন।

নার্সারির মালিক নজরুল ইসলাম। বলেন, এবারে বৃক্ষ মেলায় প্রায় ছয়শ প্রজাতির বৃক্ষ এনেছি। এর মধ্যে ফলের গাছই বেশি। প্রায় একশ পদের আম গাছ রয়েছে। তবে ফুল, বনজ গাছও রয়েছে। প্রায় পঞ্চাশ প্রজাতির বিদেশি বৃক্ষ রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।

‘জীবিকার জন্য গাছ, জীবনের জন্য গাছ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলার মাঠে বসেছে বৃক্ষমেলা ও পরিবেশ মেলা।

Advertisement

রোববার মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাসব্যাপী বৃক্ষমেলায় শতাধিক নার্সারি অংশ নিয়েছে। পরিবেশ মেলায় স্টল রয়েছে ৬৮টি।

মেলার মূল আকর্ষণ বৃক্ষরাজি। শত শত ফুল, ফল আর বনজ গাছে জমে উঠেছে বৃক্ষমেলা। আছে বিদেশি অনেক প্রজাতির বৃক্ষও। বনসাই গাছেরা মেলার রূপ বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।

বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা থেকে ফুলের গাছ কিনতে এসেছেন হিমেল নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বলেন, মেলা তো নয়, যেন বনের মধ্যে প্রবেশ করেছি। এত ফুল, ফলের গাছ থেকে মাথা ঘুরে গেছে। মনে হচ্ছে সবই যদি কিনতে পারতাম।

কথা হয়, ব্র্যাক নার্সারির এক কর্মকর্তার সঙ্গে। বলেন, মেলায় বিক্রি বড় কথা নয়, এর মাধ্যমে হরেক রকম গাছ-গাছালির সঙ্গে দর্শকরা পরিচিত হতে পারছেন। এতে করে মানুষের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম বাড়ে।

Advertisement

এএসএস/বিএ