সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ (কুশিয়ারা ডাইক) ভেঙে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার ভোরে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের লামাতাজপুর জব্বার মিয়ার বাড়ির পাশে ডাইকের প্রায় ৫০ ফুট এলাকা কুশিয়ারা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গিয়ে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
Advertisement
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাদীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুরিকোনা, ইসলামপুর, দক্ষিণ কালনী চর, উত্তর কালনী চর, পূর্ব কালনী চর, ২নং ওয়ার্ডের সুন্দিখলা, সম্মানপুর, মোকামপাড়া, রহমতপুর, চাতলপাড়, পূর্ব সুন্দিখলা, সম্মানপুর, ৭নং ওয়ার্ডের সাদীপুর, সৈয়দপুর ও ৮নং ওয়ার্ডের লামা তাজপুর, চরা তাজপুর, পূর্ব তাজপুর, টুকরাগাঁও গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার অধিবাসী।
এদিকে সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব অভিযোগ করেন, গত শীত মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবুল হোসেন এন্টারপ্রাইজ নিয়ম অনুযায়ী ডাইকের সাড়ে তিন ফুট মাটি ভরাট করেনি। এ অনিয়মের কারণেই কুশিয়ারা নদীর পানির চাপের কারণে ডাইক ভেঙে যায়। পাশাপাশি একই অভিযোগ সাদীপুরের সাধারণ মানুষেরও।
অনিয়মের এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি বেশি দিন হয়নি এখানে যোগদান করেছি। সাদীপুর ইউপির চেয়ারম্যানের অভিযোগের প্রক্ষিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের বিল দেয়া হবে না বলে নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে বলেছেন।
এ দিকে ওসমানীনগরের সাদীপুরে কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে যাওয়ার খবরে সোমবার দুপুরে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব। ভাঙন রোধে সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রবকে কিছু বস্তা দেয়া হয় বলে জানান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ।
তিনি বলেন, ডাইকের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এখানে প্রায় এক কিলোমিটার ডাইক একেবারে নিচু। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় চোরম্যানকে বস্তায় বালি ভরাট করে দুই লেয়ারে ডাইকের ওপর সাজিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ডাইকের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমরা প্লাবিত এলাকায় নজরদারি করছি। কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Advertisement
এএম/পিআর