শিক্ষা

একাদশে ভর্তি : শীর্ষ ১০০ কলেজে ৩৭ শতাংশ আবেদন

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে ৯ হাজার ৮৩টি কলেজে আবেদন পড়েছে প্রায় ৭২ লাখ। এর মধ্যে ২৬ লাখ ৪১ হাজার ২৯০টি আবেদন জমা পড়েছে দেশের শীর্ষ ১০০টি কলেজে। এসব কলেজে মোট আবেদনের ৩৭ শতাংশ আবেদন জমা পড়েছে। এই ১০০ কলেজের মধ্যে রয়েছে ১০ শিক্ষাবোর্ডের শীর্ষ ১০টি করে কলেজ। সোমবার (৫ জুন) প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, সারাদেশে ১৩ লাখ ১০ হাজার ৯১৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ৭২ লাখ আবেদন করেছে। এবছর একজন ভর্তিচ্ছু তার পছন্দের মোট ১০টি কলেজে আবেদন করতে পেরেছেন। শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির আবেদন প্রবণতা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পছন্দের তালিকার শীর্ষে আছে সরকারি কলেজ। এরপরের স্থানে আছে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত মডেল এবং সামরিক বাহিনী পরিচালিত কলেজগুলো। বিভিন্ন রংচটা বিজ্ঞাপনে শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হননি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এ ধরনের ১৫৪টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করেছে, যেগুলোতে ১০টিরও কম আবেদন পড়েছে। ৬টি প্রতিষ্ঠানে কেউ আবেদন করেনি। জানা গেছে, ৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কলেজে ভর্তির আবেদন নেয়া হয়। সারাদেশে ৯ হাজার ৮৩টি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে চাহিদার শীর্ষে থাকা ১০টি কলেজের মধ্যে ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে এবার সবচেয়ে আবেদন পড়েছে। কলেজটিতে ৪২ হাজার ৬৪৫টি আবেদন হয়েছে। এ কলেজে আসন আছে এক হাজার ৬৩৮টি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ঢাকা সিটি কলেজ ও সরকারি বাংলা কলেজ। সিটি কলেজে তিন হাজার ৪৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৯ হাজার ৩১৬টি। বাংলা কলেজে এক হাজার ৭০০ আসনের বিপরীতে ৩৯ হাজার ৫২টি আবেদন পড়েছে। চতুর্থ স্থানে রাজশাহী কলেজ। আবেদন পড়েছে ৩ হাজার ৮৯১টি। পঞ্চম স্থানে আছে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ। আবেদন পড়েছে ৩৭ হাজার। ষষ্ঠ স্থানে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। আবেদন ৩৬ হাজার ৭৭৭টি। রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ সপ্তম স্থানে রয়েছে। কলেজটিতে আবেদন পড়েছে ৩৫ হাজার ৫৭১টি। অষ্টম স্থানে ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ। আবেদন পড়েছে ৩৪ হাজার ৮৯৮টি। নবম ও দশম স্থানে যথাক্রমে আছে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ এবং নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী। আবেদন পড়েছে যথাক্রমে ৩১ হাজার ৬৪৫টি ও ২৮ হাজার ৬৭০টি। সব শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ ১০ কলেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডের শীর্ষ কলেজগুলোতে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫১টি আবেদন পড়েছে, কুমিল্লা বোর্ডের ১ লাখ ১টি,  রাজশাহীর ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭, চট্টগ্রামের ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬২৯, বরিশালের ৭৪ হাজার ২১৬, সিলেটের ৭২ হাজার ২৮২, দিনাজপুরের ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৮, যশোর শিক্ষা বোর্ডে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩টি আবেদেন পড়েছে। এছাড়াও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৬৪টি এবং কারিগরি বোর্ডের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে ১৬ হাজার ৪১১টি আবেদন পড়েছে। অর্থাৎ দেশের এই শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট আবেদন পড়েছে ২৬ লাখ ৬১ হাজার ২৯০টি। সেই হিসেবে প্রায় ৩৭ শতাংশ আবেদন রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। বাকি ৮ হাজার ৯৮৩ টি কলেজে আবেদনের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭২০টি। এদিকে, সারাদেশে আসন সংখ্যা রয়েছে ২৮ লাখ ৬২ হাজার ৯টি। আবেদনকারীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯ হাজার। সে অনুযায়ী ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯ আসনে ভর্তির কেউ থাকছে না। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সবাই হয়ত তার পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। তবে কেউই ভর্তিবঞ্চিত হবে না।তিনি আরও বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো আসন স্বল্পতা নেই। তবে ভালোমানের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। এ কারণে ভালো ফলধারীদের ভর্তির জন্য বেশি প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা হবে আরও বেশি। কেননা যারা চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, তারা সাধারণত ল্যাবরেটরি ও ভালো-দক্ষ শিক্ষক আছেন এমন প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পড়তে চায়। এমএইচএম/জেডএ/এসআর

Advertisement