খেলাধুলা

পাকিস্তানের পরিবর্তিত লক্ষ্য ২৮৯ রান

কী দুর্ভাগ্য পাকিস্তানের। বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচ। দু’দল খেলবে ৪৮ ওভার করে। এই ৪৮ ওভারে ভারত সংগ্রহ করেছে ৩১৯ রান। নিয়ম অনুযায়ী জয়ের জন্য পাকিস্তানকে করতে হবে ৩২০ রান; কিন্তু কী আশ্চর্য ক্রিকেটে প্রচলতি বৃষ্টি আইন ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে পাকিস্তানকে করতে হবে ৩২৪ রান। সেই ৪৮ ওভারেই।

Advertisement

তবে ৫ম ওভারের খেলা চলাকালীনই আবার বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ বৃষ্টি থাকার পর আবারও যখন খেলা শুরু হয়, তখন পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ৪১ ওভারে ২৮৯ রান। এ রিপোর্ট লেখার সময় পাকিস্তানের রান ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭। ২২ বলে ১২ রান করে আউট হন আহমেদ শেহজাদ। ৩২ রান করে উইকেটে রয়েছেন আজহার আলি।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জল ঢেলে দিয়েছিল বামিংহামের আকাশ। ভারতের ইনিংসে বৃষ্টি হানা দেয় দুই দফায়। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ৫০ ওভার থেকে কাটা হয় দুই ওভার। তার মানে, ৪৮ ওভার ব্যাটিং ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে ভারত। তাতেই রান তুলেছে তিনশোর্ধ্ব।

রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি ও যুবরাজ সিংয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান তুলেছে ভারত। বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তানের সামনে ৩২৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়ে যায়।

Advertisement

এজবাস্টনে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতের শুরুটা ছিল সাবধানী। মোহাম্মদ আমিরের করা প্রথম ওভারে তো কোনো রানই নেননি রোহিত শর্মা। ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টাটাই বোধ হয় করেছিলেন। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত ও শিখর ধাওয়ান পেয়েছেন ফিফটির দেখা।

দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং জুটি ভাঙেন শাদাব খান। পাকিস্তানের এই তরুণ ফেরান ৬৮ রান করা শিখর ধাওয়ানকে। ৬৫ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।

রোহিত শর্মা শিকার দুর্ভাগ্যের। কাটা পড়েন রান আউটে। ১১৯ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন যুবরাজ সিং। হাসান আলির বলে সরাসরি বোল্ডআউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৫৩ রান।

ভারতের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৬৮ বলে ৬টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৮১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন কোহলি। হার্দিক পান্ডিয়া ৬ বলে তিনটি ছক্কায় করেন ২৯ রান। স্ট্রাইক রেট ৩৩৩.৩৩! পাকিস্তানের পক্ষে একটি করে উইকেট লাভ করেন হাসান আলি ও শাদাব খান।

Advertisement

আইএইচএস/