বরিশালের আগৈলঝাড়া হাসপাতালে সার্জারী বিশেষজ্ঞ ও এ্যানেসথেশিয়া ডাক্তারের অভাবে ৪৩ বছরেও ২টি অপারেশন থিয়েটার চালু করা যায়নি। সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে হাসপাতালে ২টি স্বংক্রিয় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করলেও তা কোন কাজে আসছে না। ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার মেশিনপত্র ও সার্জিক্যাল সরঞ্জামাদি। অথচ এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলায় ৩১শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাকালে এর নিচ তলায় আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ ১টি অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়। কিন্তু একজন সার্জারী বিশেষজ্ঞ ও একজন এ্যানেসথেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ডাক্তারের অভাবে অপরেশন থিয়েটারটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৪ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের পাশে আরেকটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয় এবং একই সাথে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ওই সময় নতুন ভবনের ২য় তলায় একটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়। ওই বছর অপারেশন থিয়েটারটি চালুর জন্য সরকার আরো একটি আধুনিক এ্যানেসথেশিয়া মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার চালুর জন্য অদ্যাবধি কোন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়নি।ফলে ওই অপারেশন থিয়েটারটি চালু করাও সম্ভব হয়নি। অপারেশন থিয়েটারের মেশিনপত্র সেট করা হলে ডাক্তারের অভাবে গত ৯ বছর ধরে তার পরেছে। ফলে এ হাসপাতালে ২টি অপারেশন থিয়েটার থাকা সত্ত্বেও মাত্র একজন অভিজ্ঞ সার্জারী ও একজন এ্যানেসথেশিয়া ডাক্তারের অভাবে তা রোগীদের কোন কাজে আসছে না। সামান্য অপারেশনের জন্য রোগীদের বাধ্য হয়ে বরিশালসহ প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। এছাড়া একজন ডেন্টাল সার্জন থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে উপজেলা হাসপতালে ২টি অপারেশন থিয়েটারই বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত অপারেশন থিয়েটারের মেশিনপত্র অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম মিয়া বলেন, এ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার চালুর ব্যাপারে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।এসএস/আরআই
Advertisement