রমজানে সাধারণত অসুস্থ মানুষও সুস্থ থাকেন। যেকোন মানুষ চাইলেই সুস্থ থাকতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে চলার পর। তাই রমজান মাসে কিছু পরামর্শ মেনে চললে স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি পুষ্টিও নিশ্চিত হবে। আজ পড়ুন শেষ পর্ব-
Advertisement
১২. সাহরিতে শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেগুলো ধীর গতিতে হজম হয়। যেমন- ভাত, রুটি বা চাইলে বিভিন্ন সিরিয়ালও খেতে পারেন। যার ফলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১৩. রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবারে ফল, সবজি, ডাল ও পানি রাখতে হবে এবং কর্মচঞ্চল থাকার চেষ্টা করতে হবে।
১৪. ইফতারে দু’টি খেজুর, এক গ্লাস পানি, ফলের জুস, এক বাটি গরম স্যুপ, সালাদ, ভাত, পাস্তা বা আলুর তৈরি খাবার থাকলে ভালো। সেইসঙ্গে মাংস, মুরগি বা মাছের তৈরি কিছু খাবার রাখতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
Advertisement
১৫. গরম স্যুপ দিয়ে ইফতার করলে আপনার দেহ সতেজ থাকবে। পরিপাকতন্ত্রকে খাবার হজমের জন্য তৈরি করবে।
১৬. প্রচুর পানি পান করতে হবে। কমপক্ষে ৮ গ্লাস। তবে একসঙ্গে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে। বেশি করে পানি পান করলে পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
১৭. ইফতারে তেলে ভাজা খাবার বাদ দেওয়া উচিত। এগুলো খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বেশি তেল-মশলাযুক্ত ভারি খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর হাল্কা খাবার খান। স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা বেক, গ্রিল, সেদ্ধ বা স্টিম করা খাবার খান।
১৮. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাল্কা খাবার খেতে পারেন। যেমন- ফল, টকদই বা শুকনো ফল। এছাড়া সাহরিতে ডাল জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। খেতে পারেন এক গ্লাস লো ফ্যাট দুধ।
Advertisement
১৯. মিষ্টি জাতীয় খাবার বাইরে থেকে না কিনে বাসায় তৈরি করুন। লো ফ্যাট দুধ, কম চিনি ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে খাবারের ক্যালরির পরিমাণ কমে আসবে। ইফতারের প্রথমেই মিষ্টি খাবার খেলে পেট ভরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং খাবার হজমে দেরি হতে পারে। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা ওঠানামা বেড়ে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাকে বাড়াতে পারে।
২০. মাংস, ডাল, ডিম, দুধের তৈরি জিনিসগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। প্রোটিন দেহের কোষের জন্য খুব প্রয়োজন। এর ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কম থাকবে।
২১. খাবারে বৈচিত্র আনতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত নিত্য নতুন খাবার তৈরি করুন। বিভিন্ন ধরনের ও রঙের সবজি ও ফল দিয়ে বিভিন্ন সালাদ তৈরি করুন। যার ফলে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমন্বয় হবে। যা আপনার দেহকে এবং দেহ কোষকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
আশাকরি সবাই রমজানে সুস্থ থাকবেন এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন।
এসইউ/জেআইএম