ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি হাঁকালেন হাশিম আমলা আর বল হাতে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ওপর ঝড় তুললেন ইমরান তাহির। তাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৬ রানের বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Advertisement
ব্যাট হাতে হাশিম আমলা খেললেন ১০৩ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। আর বল হাতে ইমরান তাহির ৮.৩ বোলিং করে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ কারণে উপুল থারাঙ্গা, ডিকভেলা কিংবা কুশল পেরেরাদের লড়াই কোনো কাজে আসেনি। প্রোটিয়াদের করা ২৯৯ রানের জবাবে ৪১.৩ ওভারেই ২০৩ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা।
জয়ের জন্য ৩০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিরোশান ডিকভেলা এবং উপুল থারাঙ্গা ৬৯ রানের জুটি গড়ে দারুণ সূচনা এনে দেন লঙ্কানদের। এ সময় মনে হচ্ছিল, সহজেই বুঝি প্রোটিয়াদের ইনিংস টপকে যাবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দলটিতে যে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের অভাব রয়েছে, সেটা বোঝা গেলো এই ম্যাচেই।
নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ থাকলেও না হয় এক কথা ছিল। ইনজুরির কারণে ম্যাথিউজের খেলা থেকেও বঞ্চিত লঙ্কানরা। সুতরাং, অভিজ্ঞতার কাছেই পরাজয় মানতে হলো শ্রীলঙ্কাকে।
Advertisement
দলীয় ৬৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪১ রান করে আউট হয়ে যান ডিকভেলা। এরপর কুশল মেন্ডিস (১১) আর দিনেশ চান্ডিমাল (১২) বিরতি দিয়ে দিয়ে ফিরে যান ১১৬ রানের মধ্যে। চামারা কাপুগেদারা মাঠে নেমে দাঁড়াতেই পারেননি। শূন্য রানে আউট হয়ে যান।
ইমরান তাহির আর ক্রিস মরিস এ সময় দারুণ পেয়ে বসে লঙ্কানদের। একটার পর একটা তুলে নিতে থাকেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। অ্যাসেলা গুণারত্নে (৪), সেকুগে প্রসন্ন (১৩), সুরঙ্গা লাকমাল (০), লাসিথ মালিঙ্গা (১) এবং নুয়ান প্রদীপ (৫)। এদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু কুশল পেরেরা। তিনি শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ইমরান তাহির ছাড়াও প্রোটিয়াদের মধ্যে ২ উইকেট নেন ক্রিস মরিস, ১টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা এবং মরনে মর্কেল। বাকি দু’জন হলেন রানআউট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আমলার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১৫ বলে ১০৩ রান করে রান আউট হন আমলা। ৭০ বলে ৭৫ রান করেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস, ২০ বলে ৩৮ রান করেন জেপি ডুমিনি।
Advertisement
আইএইচএস/