আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো রুম থেকে পাওয়া সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ দেখাবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। জব্দকৃত স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ ওই স্বর্ণের পক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর আনুষ্ঠানিকভাবে তা জব্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আগামীকাল রোববার সকাল ৯টায় সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে এই স্বর্ণ জব্দ দেখানো হবে। এগুলো ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হবে।তিনি আরও জানান, এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দকৃত স্বর্ণ ও ডায়মন্ড শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে। শুল্ক গোয়েন্দার ৫টি দল আগামীকাল সকাল থেকে এই স্বর্ণ জব্দ ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করবেন। গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কোয়ার ও মৌচাকের ৫টি শো রুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে আটক করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে পরে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা কোনো প্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয় শুল্ক গোয়েন্দা।
Advertisement
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষকদের একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত আহমেদ। সাফাতসহ ৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।এদিকে, এ ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। উঠে আসে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ব্যাংক হিসাবে গরমিলের বিষয়টি। এতে শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে আপন জুয়েলার্স বর্জনের দাবি ওঠে। পরে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো রুম থেকে অবৈধ এ স্বর্ণ জব্দ করা হয়।জেইউ/এসআর