দল ভালো করলে অনেক দূর্বলতা, ঘাটতি আর ফাঁক-ফোকর ধরা পড়ে না। হারলে বা খারাপ খেললেই বেড় হয় নানা ছিদ্র ও শূন্যতা। এটাই রীতি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারের পর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের একাদশ আর গেম প্ল্যানিং প্রশ্নবিদ্ধ। সবার একটাই কথা, ফল কি হতো না হতো সেটা বড় কথা নয়। আসল সত্য হলো বাংলাদেশ একজন স্পেশালিষ্ট বোলার কম নিয়ে খেলেছে।
Advertisement
জাতীয় দলের সাবেক প্রশিক্ষক সারোয়ার ইমরান সেই প্রসঙ্গের সঙ্গে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আজ জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে এ অভিজ্ঞ কোচ বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমাদের একাদশে আটজন ব্যাটসম্যান। একজন স্পেশালিষ্ট বোলার কম। আমি ভেবে পাই না, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মত আসরে একজন স্পেশালিষ্ট বোলার কম নিয়ে মাঠে নামা কেন? এতগুলো ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে গিয়ে একজন স্পেশালিষ্ট বোলার কমে গেছে। পার্টটাইম বোলার দিয়ে ১০ ওভারের বোলিং কোটা পূর্ণ করতে চাওয়াও বিস্ময়কর ঠেকেছে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মত ব্যাটসম্যানকে আট নম্বরে খেলাচ্ছি। আমার মনে হয় এতে ছেলেটার মেধা ও প্রতিভাকে খাটো করা হচ্ছে। এত নিচে নামার কারণে সে নিজেকে মেলে ধরতে পারছে না। অত অল্প সময়ে সেট হয়ে তেড়েফুড়ে ব্যাট ছুড়তে হয়। মোসাদ্দেক সৈকত বয়সে তরুণ। এটা তার জন্য বাড়তি প্রেশার হয়ে যাচ্ছে। মোদ্দা কথা, আমরা তাকে কাজে লাগাতে পারছি না। আমার প্রশ্ন হলো, মোসাদ্দেককে যদি খেলাতেই হয়, তাহলে আট নম্বরে কেন? হয় তাকে আরও ওপেরে খেলানো, না হয় তাকে বাদ দিয়ে একজন স্পেশালিষ্ট বোলার খেলানো হলে বরং দলের শক্তির ভারসাম্য আসতো।’
সারোয়ার ইমরান আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন ১ জুন ওভালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যে দলটি খেলতে নেমেছে সেটা অগোছালো। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পরের ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তি ও সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে সারোয়ার ইমরান বলেন, ‘শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, বড় শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে ভালো করতে গেলে কিছু অত্যাবশ্যকীয় শর্ত পূরণ করতে হবে। আমার একটাই কথা, আমাদের ডেথ ওভারে বোলার নাই। আর ডেথ ওভারে হাত খুলে খেলার ব্যাটসম্যানও নাই। সব দলের পাওয়ার হিটার আছে আমাদের নেই। টপ লেভেলের টিমগুলোর সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঘাটতি রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা কঠিন।’
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে সারোয়ার ইমরান বলেন, ‘পরের ম্যাচে বোলিং বিশেষ করে পেস বোলিং নিয়ে আমি চিন্তিত। একদম ধারহীন সাদামাঠা বোলিং। আমার মনে হয় আমাদের বোলাররা ঐ উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। ঐ সব উইকেটে একটু খাটো লেন্থে বল ফেললে আর রক্ষে নেই্। আমাদের বোলাররা উপমহাদেশে পাড় পেয়ে যায়। কারণ আমাদের পিচে একটু খাটো লেন্থে বল পড়লেও বল নিচু থাকে। পুল-কাট বা সাইড শট খেলার সুযোগ ও সময় দুইটাই কম মেলে। কিন্তু এসব পিচে একটু শর্ট করলেই শেষ।’
Advertisement
এআরবি/এমআর/এমএস