আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা আমরাই বুঝি। তাই দুর্গতদের খবর নিতে আমরা উপকূলে ছুটে এসেছি। সব দুর্যোগে আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে থাকে।
Advertisement
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে যারা পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের মুখে বাজেট নিয়ে দুর্নীতির কথা মানায় না। তারা ঢাকায় বসে ফটোসেশন করে। বিএনপি জনগণের দুর্দিনে পাশে না দাঁড়িয়ে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতের সময় আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকলেও প্রতি মুহূর্তে তিনি খোঁজ খবর নিয়েছেন। তখনই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণসহ তাদের পাশে দাঁড়ানোর কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে। নির্মাণ করে দেয়া হবে ধলঘাটা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ। চারলেন করা হবে চালিয়াতলি-মাতারবাড়ী সড়ক।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমিউদ্দীনের সভাপতিত্বে মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, ঢাকসুর সাবেক ভিপি আকতারুজ্জামান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত কুমার রায় নন্দী, আনোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী চিনু, আমিনুল ইসলাম আমিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, সৈয়দ মাহমুদুল হক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এরশাদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ বিতরণ শেথে ওবায়দুল কাদের সঙ্গীদের নিয়ে ছালিয়াতলি-মাতারবাড়ী সড়কটি পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, মহেশখালীতে ‘মোরা’ আক্রান্তদের প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল ও নগদ এক হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আসা টিমের সদস্য কর্তৃক মহেশখালীর ঘলঘাটা, মাতারবাড়ি ও কুতুবজোমসহ অন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৩৭ মেট্রিক টন জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/আরআইপি