২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটকে ‘বড় বেলুন’ আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এটি হচ্ছে বড় বাজেটে বড় দুর্নীতি করার মাধ্যম।
Advertisement
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘সরকারের এ বাজেট দেখতে চমকপ্রদ মনে হয়, কিন্তু এর ভেতরে সাধারণ মানুষ তথা নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই নেই। এ বাজেট দেখতে একটি বড় সুন্দর বেলুনের মতো। এ বাজেটের মাধ্যমে সরকার জনগণের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি অনির্বাচিত সরকারের এই ধরনের বাজেট দেয়ার কোনো নৈতিক অধিকার আছে কি না সেটাই একটি বিরাট প্রশ্ন।’
Advertisement
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘উন্নয়ন খাতের চাইতে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় প্রায় দেড়গুণ বেশি ধরা হয়েছে এ বাজেটে; যা কখনোই জনগণের বাজেট হতে পারে না। এ বাজেটে ঘাটতি রয়েছে এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, ‘এ বাজেটের সবচাইতে বড় দুর্বলতা হলো, দুর্নীতি দমন করার কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। বড় বড় প্রকল্পের জন্য বড় বড় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বড় প্রকল্প মানে হল বড় অংকের ঘুষ এবং দুর্নীতি। এই বাজেটে সরকারি ব্যাংকগুলোর যে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে যে দেউলিয়া করেছে সে বিষয়ে কোনো কথা নেই। শেয়ার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক দুর্নীতি এবং ডেসটিনির দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।’
মওদুদ মনে করেন, এই বাজেটের মূল কথা হলো- এই বাজেটের অধীনে দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ থেকে নেয়া ট্যাক্সের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত এবং অপচয় হবে; যার হিসাব নেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
ব্যাংকের আমানতের উপর কর আরোপ করে সরকার একটি দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে অভিযোগ করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই বছর এমনিতেই ৩৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এখন দেশের মানুষ এই আমানতের উপর অতিরিক্ত করা বসানোর কারণে ব্যাংকে আর টাকা জমা রাখবে না। এতে বোঝা যাচ্ছে সরকারই চায় না যে, দেশের মানুষ ব্যাংকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখুক। সরকারেই বিদেশে টাকা পাচার করার ব্যবস্থা করছে। এর চাইতে বড় আত্মঘাতী প্রস্তাব আর কিছুই হতে পারে না।’
Advertisement
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাছের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
এমএম/এনএফ/আরআইপি