ফিচার

রমজানে যা মেনে চলবেন : প্রথম পর্ব

রমজানে সাধারণত অসুস্থ মানুষও সুস্থ থাকেন। যেকোন মানুষ চাইলেই সুস্থ থাকতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে চলার পর। তাই রমজান মাসে কিছু পরামর্শ মেনে চললে স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি পুষ্টিও নিশ্চিত হবে। আজ পড়ুন প্রথম পর্ব-

Advertisement

১. অনেকেই রোজায় খুব অলস জীবন যাপন করেন। যার ফলে ওজন বেড়ে যায়। তাই একটু কর্মক্ষম থাকা উচিত। অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় করার জন্য ইফতারের পর একটু হাঁটলে খাবারগুলো ভালোভাবে হজম হয়।

২. সবসময় যারা ব্যায়াম করেন; তারা রোজায় অনেক সময় বুঝতে পারেন না ঠিক কখন করবেন। তারা ইফতারের আগে ব্যায়ামের কাজটা সেরে নিতে পারেন। যেন ব্যায়াম শেষ করার কিছুক্ষণ পরই ইফতার করতে পারেন এবং শরীরকে হাইড্রেট করে নিতে পারেন।

৩. অনেকেরই ইফতারে বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়, যার ফলে ওজন বাড়ে। তাই ফল ও সবজির সমন্বয়ে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার করতে হবে। মিষ্টি পানীয় যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তবে কর্মব্যস্ত থাকলে সুস্থ থাকা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Advertisement

৪. মাথা ব্যথা বা ঘুম এড়ানোর জন্য কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বাদ দিয়ে দিতে বা কমিয়ে দিতে চেষ্টা করুন।

৫. মাগরিবের নামাজের আগে সব খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রথমে খেজুর, স্যুপ, ফল, সালাদ ইত্যাদি খেয়ে নামাজের পরে অন্য খাবার খেলে এই সময়ের মাঝে খাবারগুলো হজম হয়। ফলে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার অস্বস্তি থাকে না।

৬. রোজায় অনেকেই সাহরি খান না, যা ঠিক নয়। কারণ সাহরির খাবারটা সারাদিনের রোজাকে সহজ ও সহনীয় করে। এছাড়া জীবনীশক্তি ও কাজের শক্তি বজায় রাখার জন্য জরুরি। তাই এ সময়ের খাবারে ভাত, রুটি বা ধীরে ধীরে শোষিত হয় এমন শর্করা সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করুন।

৭. বিভিন্ন লবণ জাতীয় খাবার ও টিনজাত বা প্রসেসড খাবার, লবণাক্ত বাদাম, আচার, অতিরিক্ত ঝাল খাবার ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। কারণ এগুলো খেলে সারাদিন তৃষ্ণা অনুভব করবেন। এছাড়া অন্যান্য খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করুন। এর পরিবর্তে খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সবজি ও ভেষজ মশলা ব্যবহার করুন।

Advertisement

৮. রোজার সময় যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ায় মাথা ব্যথা করে বা মাথা ঘোরায়; তারা ইফতারের শুরুতেই ২-৩টি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। এতে তারা কিছুটা সুস্থ বোধ করবেন।

৯. ইফতার ধীরে ধীরে সময় নিয়ে চিবিয়ে খেতে হয়। ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও অন্য খাবার বেশি খাওয়া হবে না।

১০. বিভিন্ন ধরনের ইফতার সবারই খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে সেগুলো প্রতিদিন খাওয়া চলবে না। খুব ইচ্ছে করলে সপ্তাহে একদিন, অন্যান্য সুষম খাবারের সঙ্গে পছন্দনীয় খাবার খুব কম পরিমাণে খেতে পারেন।

১১. প্রতিদিনের খাবারে অল্প পরিমাণ খেজুর, বাদাম ও শুকনো ফল রাখতে পারেন। যা সারাদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদানের পাশাপাশি শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।

চলবে-

এসইউ/জেআইএম