টানা ১১টি জয়ের রেকর্ড আফগানিস্তানের। যার বিরুদ্ধেই হোক, ১১টি টানা জয়ের রেকর্ড গড়ে যেন আকাশে উড়ছিল আফগানরা। অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তাদেরকে থামতে হলো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের টানা ১১ জয়ের রেকর্ডের পর ৮টি করে জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড।
Advertisement
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে মূলতঃ লড়াই হয়েছে দুই স্পিনারের। তবে শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। কিন্তু সুনিল নারিনের বুদ্ধিদীপ্ত ঘূর্ণি বোলিংয়ের সামনে পড়ে ৬ উইকেটের ব্যবধানে পরাজয়ই মেনে নিতে হলো রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। শুরু থেকেই স্পিন আক্রমণের মুখে পড়ে তারা। ৮ বলে ১২ রান করা গুলবাদিন নাইব ফিরে যান স্যামুয়েল বদ্রির বলে। এরপর রানআউট হয়ে যান উসমান গণিও। দুই ওপেনারের সঙ্গে দ্রুত ফিরতে শুরু করেন আসগার স্টানিকজাই, করিম জানাত, সামিউল্লাহ সেনওয়ারি এবং মোহাম্মদ নবিও।
তবে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রশিদ খান। শেষ দিকে তার সঙ্গে দৃঢ়তা দেখান বোলার আমির হামজাও। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন রশিদ খান এবং আমির হামজা করেন ১৭ বলে ২১ রান। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে মাত্র ১১০ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানরা।
Advertisement
জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার উইকেট হারিয়ে ১৬.৩ ওভারেই পৌঁছে যায় জয়ের লক্ষ্যে। ১৫ বলে ২২ রান করেন চাডউইক ওয়ালটন। এভিন লুইস ১৬ বলে করেন ২৬ রান। ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মারলন স্যামুয়েলস। শেষ দিকে জেসন মোহাম্মদ করেন ২৫ বলে ১৮ রান। ৪ উইকেট হারিয়েই শেষ পর্যন্ত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
আফগান বোলারদের মধ্যে শাপুর জাদরান নেন ২ উইকেট। ১ উইকেট করে নেন রশিদ খান এবং করিম জানাত।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement