অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে লেনদেন খরা অব্যাহত

দরপতন থামলেও লেনদেন খরা অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবজারে। গত সপ্তাহে (২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে লেনদেন কমে ছিল নয় শতাংশের ওপরে। লেনদেন কমলেও আগের সপ্তাহের মতো শেষ সপ্তাহেও বেড়েছে বাজার মূলধন ও মূল্যসূচক।

Advertisement

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৩৭ কোটি। অর্থাৎ ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৩২ কোটি টাকা।

এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়ে ছিল ১৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ।

ডিএসইএক্স’র পাশাপাশি আগের সপ্তাহের মতো শেষ সপ্তাহেও বেড়েছে ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছে ১১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়ে ছিল ১৯ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ।

Advertisement

তবে কমেছে ডিএসই শরীয়াহ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি কমেছে ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়ে ছিল ৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ।

শেষ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৬৯৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে ৬৪৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

মোট লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৪১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৫৩৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১২৮টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৭৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দাম।

Advertisement

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯২ দশমিক ৪৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ইভিন্স টেক্সটাইল, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এমজেএল বাংলাদেশ, ডরিন পাওয়ার এবং অগ্নি সিস্টেম।

এমএএস/এআরএস/জেআইএম