বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ (ন্যানো স্যাটেলাইট) ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ ওড়ানো যায়নি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে। ৪ জুন পর্যন্ত এ স্যাটেলাইটটি মহাকাশে ওড়ানো স্থগিত করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে ন্যানো স্যাটেলাইটটি মহাকাশ স্টেশনে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ স্যাটেলাইটটি মূলত তিন ধরনের কাজ করবে। এগুলো হচ্ছে, মহাকাশে পরিভ্রমণরত স্যাটেলাইটটি চিহ্নিত করে এর থেকে তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ, স্যাটেলাইটটি কীভাবে, কী কী কাজ করবে তার নির্দেশনা প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ করা।
এই গ্রাউন্ড স্টেশনটি তৈরি করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। মহাকাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি জলাভূমি, নগরায়ন ও কৃষি পরিস্থিতির উচ্চমানের ছবি পাঠাতে সক্ষম। ৪০০ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে উৎক্ষেপণের পর এটি প্রতিদিন ১৬ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ঘুরে যাবে দিনে চার থেকে পাঁচবার। এ সময় কৃত্রিম উপগ্রহটি থেকে ছবিও ডাউনলোড করা যাবে।
২০১৬ সালের জুনে কৃত্রিম উপগ্রহটি বানানোর জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (কিউটেক) চুক্তি হয়। পরে কিউটেকের ল্যাবরেটরি অব স্পেস ক্র্যাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টারঅ্যাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তত্ত্বাবধানে এটা বানানোর কাজে যুক্ত হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ও বর্তমানে কিউটেকে গবেষণারত বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থী রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আবদুল্লা হিল কাফি ও মায়সূন ইবনে মনোয়ার। স্যাটেলাইটের নকশা প্রণয়ন থেকে শুরু করে চূড়ান্ত কাঠামো তৈরির সব কাজই করেন এই শিক্ষার্থীরা। এর ওজন প্রায় এক কেজি।
Advertisement
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্যাটেলাইটটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি আশা করেন, শিক্ষার্থীদের এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
আরএম/ওআর/পিআর