আয়ারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরেন তিনি। ফিরেই শেখ জামালের বিপক্ষে ১৩৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন নাসির হোসেন। তার শতকে ভর করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স জিতেছিল ১৭৭ রানে। এরপর নাসিরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ।
Advertisement
চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে নাসির হোসেন শো চলছেই। আজ শুক্রবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আবাহনীর বিপক্ষে গাজীকে জেতালেন নাসির। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। আবাহনীর বিপক্ষে গাজীর জয়টা ৬ উইকেটের।
বল হাতে ৮.২ ওভারে ৩৬ রান খরচায় ৩ উইকেট পকেটে পুরেছেন নাসির। ব্যাট হাতে খেলেছেন হার না মানা ৫৬ রানের ইনিংস। তার ৯২ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ চারটি চার ও একটি ছক্কায়। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে নাসিরের হাতে। আয়ারল্যান্ড থেকে ফিরে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন এই অলরাউন্ডার।
১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গাজী গ্রুপের সূচনা ভালো হয়নি। ওপেনার মুমিন শাহরিয়ার সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য হাতে। এনামুল হক বিজয় ৪১ রান করেছেন। মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ রান। জহিরুল ইসলাম অমি থেমেছেন ৭ রানে।
Advertisement
গাজীকে জিতিয়ে মাঠে ছাড়েন নাসির হোসেন (৫৬) ও নাদিফ চৌধুরী (২৬)। আবাহনীর পক্ষে দুটি উইকেট নিয়েছেন মানান শর্মা। একটি উইকেট ঝুলিতে জমা করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শুভাগত হোম।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আবাহনীর শুরুটা ছিল খুবই বাজে! দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন কুমার দাসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০।
উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুন হাল ধরতে পারতেন। কিন্তু ২৮ রান করেই মেহেদী হাসানের শিকারে পরিণত হন। শুভাগত হোম করেছেন ২৩ রান। তরুণ নাজমুল হাসান শান্ত নামের পাশে যোগ করতে পেরেছেন মোটে ১১ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কই।
গাজী গ্রুপের হয়ে তিনটি করে উইকেট দখলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান ও নাসির হোসেন। আবু হায়দার রনির ঝুলিতে উঠেছে দুটি। আর একটি করে উইকেট লাভ করেছেন হোসেন আলী ও আবরার কাজী।
Advertisement
এনইউ/পিআর